মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাঝে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে উভয় দেশ। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-নির্ভর এই পদক্ষেপ দুই দেশের মাঝে শক্তিশালী ও ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করবে বলে মনে করছেন ভারত ও শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা।
রোববার ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকোনমিক টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশন এক বিবৃতিতে বলেছে, ব্যাংক অব সিলন, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং ইন্ডিয়ান ব্যাংকের প্রতিনিধিরা এক বৈঠকে নিজেদের মধ্যে ভারতীয় রুপি ব্যবহারের অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। গত বছর ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মাঝে একটি কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলেন। ওই কাঠামো অনুযায়ী ভোস্ট্রো/নস্ট্রো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে দুই দেশের মাঝে ভারতীয় রুপি ব্যবহার করে লেনদেন শুরু করা হয়েছিল বলেও বৈঠকে জানান উভয় দেশের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে অংশ নেওয়া ব্যাংকগুলো ভারতীয় রুপি ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছে। এ সময় তারা রুপির মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সময়ে লেনদেন, তুলনামূলক কম বিনিময় ব্যয় এবং বাণিজ্যিক ঋণ প্রাপ্তির মতো বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তাদের মতে, উভয় দেশের মাঝে ভারতীয় রুপির ব্যবহার শুরু হলে তা পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এই দুই খাত থেকে অর্থ সংগ্রহের পর তা অন্যান্য খাতেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
কলম্বোয় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার গোপাল বাগলে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-নির্ভর এই পদক্ষেপ দুই দেশের মাঝে শক্তিশালী এবং ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি অন্যান্য ক্ষেত্রেও যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে আলোচনায় তা তুলে ধরেন।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রী শেহান সেমাসিংহে দুই দেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং কলম্বোকে নয়াদিল্লির দেওয়া শক্তিশালী অর্থনৈতিক আশ্বাস ও আর্থিক-মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন।
স্বাধীনতা লাভের সাত দশকের বেশি সময়ের মধ্যে নজিরবিহীন এক অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০২১ সালের শেষের দিক থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের তীব্র ঘাটতির কারণে দেশটিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। অর্থনৈতিক সঙ্কটের জেরে টানা কয়েক মাসের বিক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে গত বছরের জুলাইয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পতন ঘটে।
গত বছরের এপ্রিলে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের বৈদেশিক ঋণ খেলাপি হওয়ার পর আইএমএফের সাহায্য চেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। পাশাপাশি বৃহত্তম একক দ্বিপাক্ষিক ঋণদাতা চীনের কাছ থেকেও অর্থ সহায়তার আশ্বাসের অপেক্ষা করছে দেশটি। শ্রীলঙ্কার এমন সংকটময় অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গত বছর দেশটির পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ওই সময় শ্রীলঙ্কার সরকারকে ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক সহায়তা দিয়েছে নয়াদিল্লি।
বৈঠকে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ড. পি নন্দলাল উইরাসিংহে ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কান ব্যবসায়ীদের মাঝে ভারতীয় রুপির মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরুর বিষয়ে দৃঢ় আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করেছেন। সূত্র: ইকোনমিক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।