গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির প্রায় দুইশ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদার এর অন্যতম সহযোগী খবির উদ্দিন এর মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতকারী ২ জন নারী প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
র্যাব বলছে, গ্রেপ্তার দুজন তাদের বাবা সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নেয়। শারমিন ৩১ কেটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করেছেন। তারা গত ২৮ জুলাই কানাডা থেকে বাংলাদেশে আসে এবং আজ পুনরায় গোপনে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছিল।
এর আগেই বুধবার ভোরে দুজনকে বসু্ন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বাহিনীটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সংবাদ এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মঈন জানায়, পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানির পরিচালক খবির উদ্দিন পি কে হালদারের অন্যতম সহযোগী। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কর্মরত থাকাকালে নিজে প্রায় ২০০ কোটি টাকা পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করে। পরবর্তীতে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্তে অর্থআত্মসাতের অভিযোগে এই পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
র্যাব মুখপাত্র বলেন, চলতি বছরের ৭ মার্চ প্রতিষ্ঠানটির ঋণ খেলাপীদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। পরবর্তীতে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় গত ১৯ এপ্রিল আদালত তাদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রতিষ্ঠানের ২ জন ঋণ খেলাপী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছে। র্যাব এ ঋণ খেলাপীদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
কমান্ডার খন্দকার মঈন জানায়, গ্রেপ্তার দুজন তাদের বাবা সাবেক পরিচালক খবির উদ্দিনের মাধ্যমে ঋণ নেয়। শারমিন ৩১ কেটি ও তানিয়া ৩৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করেছেন। তারা গত ২৮ জুলাই কানাডা থেতে বাংলাদেশে আসে এবং আজ পুনরায় গোপনে কানাডার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে নানা অনিয়ম ও আর্থিক দুর্নীতির কারণে ২০১৯ সালে পিপলস্ লিজিং এন্ড ফাইন্যান্স কোম্পানি এর সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসময় আদালত পি কে হালদারসহ প্রতিষ্ঠানটির বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরওয়ানা জারি করে।
খন্দকার মঈন বলেন, প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় ৬ হাজার ব্যক্তি/শ্রেণীর আমানতকারী রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আমানতকারীর প্রায় এক হাজার ৮শত কোটি টাকা আটকা পড়েছে। এই টাকার পুরোটাই পিপলস্ ঋণ হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে।
এই অর্থের একটি বড় অংশ প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা বিভিন্ন নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।