Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিতর্কিত সেই স্ট্যাটাস মুছে ফেললেন নোবেল

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২২, ১১:০৭ এএম

গত ১০ ও ১১ আগস্ট নোবেলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় সংগীত নিয়ে পৃথক দুটি পোস্ট দেওয়া হয়। তাতে মনগড়া, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক, বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধাচার করা হয়েছে দাবি করে। তারই জেরে রোববার (১৪ আগস্ট) গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন মিঠুন বিশ্বাস নামে চট্টগ্রামের এক আইনজীবী। এরপর সেই পোস্ট এতদিন ধরে থাকলেও তা এখন আর দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না নোবেল ম্যানের সেই পেজে।

রোববার (১৪ আগস্ট) পাঠানো ওই নোটিশে নোবেলকে সাত দিন সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। নয়তো ডিজিটাল আইনে কড়া ব্যবস্থা। নোটিশে আরও বলা হয়েছে, একই সঙ্গে জাতীয় সংগীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, মানহানিকর অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয়ে আঘাত করেছেন। যা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এরআগে নোবেল লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তার রাবীন্দ্রিক সাহিত্যচর্চা অবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে বয়কট করা হোক। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল! বিদ্রোহী কবি; যখন আমাদের অধিকার আদায়ে সক্রিয় ছিলেন। রোজ রোজ ব্রিটিশদের কাছে কারাবন্দি হতেন। কনডেম সেলে টর্চারের শিকার হচ্ছিলেন। তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে সো-কল্ড বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের বাপ-দাদার রক্ত চুষে খাচ্ছিল।’

এই পোস্টের তীব্র সমালোচনা করেন বহু নেটিজেন। তারও আগে গত ৩০ জুলাই রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আরও একটা বিতর্কিত পোস্ট দেন নোবেল। সম্প্রতি হিরো আলমকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকৃত করে নজরুল ও রবীন্দ্রসংগীত গাইতে নিষেধ করা হয়। তার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়।

সেই প্রসঙ্গ টেনে নোবেল তার ফেসবুকে সেদিন লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই। তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। বাংলাদেশের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান নিতান্তই কম বা নেই বললেই চলে।’

উল্লেখ্য, ভারতের জি বাংলার ‘সারেগামাপা’ রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে পরিচিতি পাওয়া বাংলাদেশের মাইনুল আহসান নোবেল বিভিন্ন সময় উদ্ভট মন্তব্যের জেরে অসংখ্য মানুষের অপছন্দের পাত্র হয়ে উঠেছেন। ফলে বিভিন্ন সময় তাকে আপত্তিকর ভাষায় গালাগাল করেন নেটজনতা। এর আগেও বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে তাকে পুলিশের কাছে হাজিরা দিতে হয়েছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সঙ্গীত


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ