মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আল-কায়েদার শীর্ষ নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরি ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছে সম্প্রতি এমন ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার দেশটির তালেবান সরকারের দাবি, আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির কাবুলে ‘প্রবেশ করা এবং বসবাস করা’ সম্পর্কে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই।
একই সঙ্গে আফগান মাটিতে হামলার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে সে ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে তারা। জাওয়াহিরির নিহতের খবরের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছিল, জঙ্গি নেতাকে আশ্রয় দিয়ে দোহা চুক্তি ভঙ্গ করেছে তালেবান সরকার।
বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়ে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে তালেবান সরকার। বার্তায় তারা দাবি করেছে, ড্রোন হামলায় যে আল কায়দার শীর্ষ নেতা আয়মান আল জাওয়াহিরি নিহত হয়েছেন তার কোনো প্রমাণ তারা পায়নি।
জাতিসংঘে তালেবানের দূত সুহেল শাহিন দোহা থেকে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আফগান সরকার বা দলীয় নেতৃত্বের কাছে এই হামলার বিষয়ে কোনও আগাম খবর ছিল না। হামলার পরে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে আমাদের গোয়েন্দারা জাওয়াহিরির উপস্থিতির কোনও প্রমাণ পাননি। তবে এখনও তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, তালেবান সরকারের শীর্ষ কর্তারা এ বিষয়ে লাগাতার বৈঠক করছেন। তদন্তে যে তথ্য উঠে আসবে, তা বহির্বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।
একই সঙ্গে এই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে, আফগানিস্তান ইসলামিক আমিরশাহি (তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পরে এখন এটাই সে দেশের সরকারি নাম) দোহা চুক্তি মেনে চলতে বদ্ধপরিকর।
জাওয়াহিরির মৃত্যুর পরে আমেরিকা দাবি করেছিল, দেশে জঙ্গি নেতাকে আশ্রয় দিয়ে দোহা চুক্তি ভঙ্গ করেছে তালেবান সরকার। তালেবানের পাল্টা দাবি, তাদের দেশে আগ্রাসন চালিয়ে দোহা চুক্তি ভঙ্গ করেছে আমেরিকাই। গত ৩১ জুলাই আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হন আল কায়দা প্রধান আয়মান আল-জাওয়াহিরি।
২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর জাওয়াহিরি আল-কায়েদার দায়িত্ব নেন। তিনি ও বিন লাদেন একসঙ্গে ৯/১১ হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের একজন ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।