পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
দেশের জনজীবন পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। পণ্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণেই এটা হয়েছে। তবুও গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮% বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতেরও মূল্য বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। এতে পণ্যমূল্য আরো বাড়বে। সব ধরনের অপরাধ, আয় বৈষম্য, বাণিজ্য ঘাটতি, টাকার অবমূল্যায়ন, খেলাপি ঋণ, বেকারত্ব, যানজট, মামলা জট, ঋণ, জ্বালানি ও দক্ষতা সংকট, শিক্ষার মানহীনতা ইত্যাদি সর্বোচ্চ হয়েছে। বিনিয়োগ, রেমিটেন্স ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ক্রমান্বয়ে কমছে। বর্তমানে দেশে মোট ঋণের পরিমাণ ১৫৬.৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ। এর মধ্যে সরকারের ঋণ সর্বাধিক, যার পরিমাণ চলতি অর্থবছরে জিডিপির অনুপাতে ৪২.৫%। জনপ্রতি হিসাবে তা প্রায় লক্ষ টাকা হয়েছে (পাইপ লাইনে রয়েছে আরো ৫০ বিলিয়ন ডলার, যা থেকে যত পাওয়া যাবে জনপ্রতি ঋণের পরিমাণ তত বাড়বে)। এই ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করতে আগামী বাজেটে প্রায় লক্ষ কোটি টাকা রাখতে হবে, যা আগামী ২০২৫-২৭ সাল নাগাদ ৪-৫ গুণ বাড়বে। কারণ, তখন অনেক বড় প্রকল্পের বিপুল ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ শুরু হবে, যা এই কীভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত পন্ডিতরা। ড. দেবপ্রিয় বলেছেন, আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের পরে বৈদেশিক দায়-দেনায় অস্বস্তিকর অবস্থানে চলে যেতে পারে বাংলাদেশ। অবশ্য, এসব নিয়ে আ’লীগারদের মধ্যে কোনো চিন্তা নেই। তারা চাপাবাজিসর্বস্ব উন্নতির ডুগডুগি বাজাতে মশগুল! উপরন্তু তাদের অনেকেই সিঙ্গাপুরের ন্যায় উন্নতির কথা বলছে। অবশ্য, দেশে কিছু উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তার প্রায় সব সুফল বাটপারদের উদরস্থ হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ উন্নতির ভাগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে! উপরন্তু লকডাউনে কর্ম হারিয়ে, ব্যবসায়িক ক্ষতিতে ও পণ্যমূল্য ব্যাপক বৃদ্ধিতে মধ্যবিত্ত ও নি¤œবিত্তদের অধোগতি হয়েছে অনেক। দারিদ্র বেড়ে এখন দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। গত মে মাসে ঢাবির গবেষণা রিপোর্ট মতে, ‘দেশের ৪২% পরিবারের স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই এখন। জাতিসংঘের মতে, ‘বাংলাদেশে এখনো পুষ্টিকর খাবারের অভাবে ৩১% শিশুর শারীরিক বিকাশ ঠিকমতো হচ্ছে না’। অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, ‘এদেশে ধনীরা আরও ধনী, আর গরীবরা আরও গরীব হয়েছেন’। দেশের এসব ভয়াবহ সংকটের অধিকাংশই হয়েছে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসনের অভাবে! ড. হোসেন জিল্লুর রহমান স¤প্রতি বলেছেন, কোনো ক্ষেত্রেই সরকারের কোনো জবাবদিহি নেই!
দেশের গণতন্ত্রপন্থীরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে জোটবদ্ধ হচ্ছে। তাদের প্রধান দাবি, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন। তাতে বিজয়োত্তর আন্দোলনকারী দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠন এবং গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্থায়ী পথ সৃষ্টি করা। পশ্চিমারাও নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন এবং মানবাধিকার রক্ষার কথা বলছে। স¤প্রতি ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন, নিরপেক্ষ নির্বাচন, মানবাধিকার ও অবাধ মত প্রকাশের অধিকারের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো আপস নেই। এর আগে দেশটি গুম-খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব এবং তার প্রাক্তন ও বর্তমান ৭ কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। শত চেষ্টা করেও তা প্রত্যাহার করা যাচ্ছে না। তাদের সাফ কথা, অতীতের গুম-খুনের সঠিক বিচার করতে হবে। জাতি সংঘেও একই সুর ধ্বনিত হচ্ছে। গুম-খুন নিয়ে সরকার যে জবাব দিয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট হয়নি সংস্থাটি। তাই ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞার বিস্তার ঘটে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা বাড়ছে।
আ’লীগ সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে নারাজ। কারণ, সেটা হলে তার ফল কী হবে তা তারা জানে। অর্থাৎ বেশিরভাগ প্রার্থীর ভরাডুবি হবে। উপরন্তু দলের যারা অবাধে লুটপাট করে ধনী হয়েছে এবং যারা বিরোধী দলের লোকদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলা করেছে ও করছে, তাদের বেশিরভাগই বিচারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবে পিকে হালদারের মতো। অতঃপর বিভিন্ন দেশের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে হবে ১/১১ এর নায়কদের মতো। এই অবস্থা থেকে বাঁচার লক্ষ্যে দলটি কিছু লোককে দিয়ে জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছিল, যা অংকুরেই বিনষ্ট হয়েছে জনসমর্থনের অভাবে। তাই সর্বশেষ চেষ্টা হিসাবে দলটি মাঠ দখলের উদ্যোগ নিয়েছে। অর্থাৎ গণতন্ত্রকামীরা যেন মাঠে নামতে না পারে সে অপেেকৗশল নিয়েছে। তারা এটা প্রকাশ করেছে গত ৩১ মে। এদিন কেন্দ্রীয় নেতারা দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলেছে, ‘কর্মসূচির বিপরীতে কর্মসূচি, আঘাতের বিপরীতে পাল্টা আঘাত’ এই নীতিতে এখন থেকে মাঠে থাকবে আ’লীগ, যার বাস্তবায়নও শুরু করেছে তারা। উপরন্তু আ’লীগের অনেকেই অনবরত বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। অবশ্য এটা তারা করছে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। কারণ, তারা বিএনপিকে প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী মনে করে ও ভয় করে। তারা সার্বক্ষণিক বিএনপিআতংকে ভোগে।
যা’হোক, আ’লীগের মাঠ দখলের হুংকারে এবং বিরোধী পক্ষের অনেকের বেআইনি শ্লোগান ও উসকানিমূলক কিছু বক্তব্যে দেশে ব্যাপক সংঘাত বাধার আশংকা সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে তীব্র আন্দোলন ছাড়া গত্যন্তর নেই। ফলে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম হানাহানি বেঁধে ব্যাপক জানমালের ক্ষতি হতে পারে, যা শান্তিকামী মানুষের কাম্য নয়। তাই গণতন্ত্রপন্থীদের আন্দোলন হতে হবে সংঘাত এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও চরম সতর্কতামূলক। নতুবা মতলববাজরা পূর্বের মতো পরিকল্পিতভাবে আন্দোলনে ঢুকে পড়ে সন্ত্রাসী কর্ম চালিয়ে ও উসকানিমূলক কথা বলে আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করতে পারে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা সম্পৃক্ত হবে না ও বাধা দেবে তারা গণতন্ত্রের শত্রæ হিসেবে চিহ্নিত হবে বলে পন্ডিতদের অভিমত।
দেশের এরূপ আশঙ্কিত পরিস্থিতিতে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিছু বক্তব্যে উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তিনি গত ৩০ মে বলেন, বাংলাদেশের বন্ধু ও উন্নয়ন অংশীদাররা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন শর্ত দিচ্ছে। তারা প্রতিদিন এক একটা ইস্যু নিয়ে আসছে। কিন্তু এখন তারা উন্নয়নে এক পয়সাও দেয় না, খালি পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। তিনি গত ১ জুন সাংবাদিকদের বলেন, অনুগ্রহ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করবেন, কেন তারা নিজ দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড বন্ধ করতে পারে না? যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন, বাংলাদেশ সম্পর্কে নয়। এর কয়েক দিন আগে তিনি আসামে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেন, রাশিয়া সস্তায় তেল-গ্যাস বিক্রি করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশকে। এ ব্যাপারে ভারতের সহায়তা চাই। কিন্তু ইউক্রেনে আক্রমণের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একই ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে রাশিয়ার সাথে যারা বাণিজ্য করবে তাদের বিরুদ্ধেও। দ্বিতীয়ত: আমেরিকার সাথে দুর্বল দেশের দ্বন্দ্বের যাওয়ার পরিণতি কী হয় তা স¤প্রতি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়ে বুঝেছেন। তবুও তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় রাজনীতিতে টিকে আছেন। কিন্তু আ’লীগ সে অবস্থায় নেই। দলটির জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। উপরন্তু ছোট কিছু দলকে নিয়ে যে জোট করেছে, তাও নড়বড়ে হয়ে গেছে মন্ত্রিত্ব না দেওয়ায়। ফলে আ’লীগ এখন অনেকটা একঘরে ও দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় কোনো ধাক্কা খেলে তলিয়ে যেতে হবে। তৃতীয়ত: আমরা যতই উন্নতি করি না কেন, এখনো বিশাল ঘাটতি বাজেট দিতে হয়, যা উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ ও সহায়তায় পূরণ হয়। তথাপিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্র ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক মন্তব্য করছেন। এতে তাদের সাথেও আ’লীগের দূরত্ব সৃষ্টি ও দেশের ক্ষতি হচ্ছে। এর আগে তিনি ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ককে স্বামী-স্ত্রীর মতো বলে মন্তব্য করায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ হয়েছে।
যা’হোক, দেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রয়োজন। নতুবা শান্তি এবং সার্বিক ও টেকসই উন্নতি হবে না। তাই সরকারের নজর দেয়া দরকার। তত্তাবধায়ক সরকার আইন পুনর্বহাল, সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় সরকারের সংস্থাগুলোকে পূর্ণ স্বাধীন ও শক্তিশালীকরণ, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল, ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি ও অবাধ গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষা করা এখন খুবই জরুরি। তাতে নির্বাচনে আ’লীগ জয়ী হয়ে ক্ষমতায় এলেও কারো কোন আপত্তি থাকবে না। আর ক্ষমতায় না এলেও রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারবে। তাই সংঘাত নয়-শান্তি, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার এবং পণ্যমূল্য কমানোর দিকেই গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ আ’লীগের। এটা দেশের অধিকাংশ মানুষেরও কামনা।
পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধন করা হবে আগামী ২৫ জুন। সে উপলক্ষে এবং এই সেতু নিয়ে তুলকালাম কান্ড শুরু করেছে সরকারের লোকজন। তাতে মনে হচ্ছে, এটা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সেতু। কিন্তু তা নয়। নদী পথে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সেতুগুলোর মধ্যে উইকিপিডিয়ার মতে, পদ্মা সেতু ১৩৪তম, দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিমি। দীর্ঘতার দিক দিয়ে প্রথম সেতু চীনের। দৈর্ঘ্য ১৬৪ কিলোমিটার। পদ্মা নদীর পাকশীতে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ তৈরি হয়েছে ১৯১৫ সালে, যা আজও চলছে। যমুনা নদীতেও সেতু নির্মাণ হয়েছে গত ৯০ দশকে। বর্তমানেও তার ধার দিয়ে আরেকটি রেল সেতু নির্মাণের কাজ চলছে। চীন দক্ষিণ চীন সাগরে সেতু নির্মাণ করে মূল ভূখÐের সাথে হংকং ও ম্যাকয়ের সংযোগ ঘটিয়েছে। অবশ্য অনেক বাধা বিপত্তি মোকাবেলা করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা দেশের বিরাট সফলতা নিঃসন্দেহে। উপরন্তু এতে করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই সহজতর হবে এবং উন্নতির নতুন দ্বার খুলে যাবে, যার প্রভাব পড়বে সমগ্র দেশেই। প্রবৃদ্ধি বাড়বে ১.৫%।
বর্ণিত বিষয়গুলো সম্পর্কে আ’লীগাররাও জানে। তবুও পদ্মা সেতু নিয়ে ব্যাপক শোরগল করার কারণ হচ্ছে, গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলন থেকে মানুষের দৃষ্টিকে ডাইভার্ট করা এবং সরকারের বাহাদুরি ফলাও করে প্রচার করা। কিন্তু জেনারেল আইয়ুব খানও উন্নয়নের দশক উদযাপন করেছিলেন ব্যাপক ঘটা করে। তার শাসনামলে পাকিস্তানে অকল্পনীয় উন্নতি হয়েছিল। দেশে বর্তমানে যে ভারী শিল্প রয়েছে, তার অধিকাংশই এবং জাতীয় সংসদ ভবন ও কমলাপুর রেল স্টেশন তৈরি হয়েছিল তখন। উপরন্তু বর্তমানে যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, তার ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তখনই। এরূপ দেশে অসংখ্য উন্নয়ন কর্মের নজির রয়েছে আইয়ুবের। তবুও তিনি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। গণতন্ত্রের দাবিতে গণঅভ্যুন্থ্যানে বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন। এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রকে পছন্দ করে বেশি। এ কথা অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবে। অপরদিকে পণ্য মূল্য বৃদ্ধি রোধ কল্পে চাঁদাবাজি, অতি মুনাফা বন্ধ, খাদ্য দ্রব্যের শুল্ক হ্রাস, গম আমদানিতে সংকট ও ইরি-বোরোর উৎপাদন কম হওয়ায় দ্রæত ৫০ লাখ মে.টন চাল আমদানি, সামাজিক সুরক্ষার ব্যাপ্তি ও পরিমাণ বৃদ্ধি, বন্ধ শিল্প চালু এবং শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-মজুরি যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি করা জরুরি। নতুবা সাধারণ মানুষের হাহাকার বন্ধ হবে না।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।