পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশব্যাপী বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপরে বেপরোয়াভাবে হামলা-মামলা, হত্যা ও দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। এভাবে হত্যা ও দমন-পীড়ন করে শেষ রক্ষা হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে। এবার গণআন্দোলনের মুখে শিগগিরই এ সরকারের পতন হবে। গণসংহতি আন্দোলন কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত গতকাল গণতন্ত্র মঞ্চের এক সভায় নেতারা এ সব কথা বলেন। গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, গণধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আকবর খান ও নাগরিক ঐক্যের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, জেএসডির কেন্দ্রীয় নেতা কামাল উদ্দীন পাটোয়ারী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দালনের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনসার আলী দুলাল, ভাসানী অনুসারী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মহিবুল্লাহ বাহার, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রচার সমন্বয়ক হাসিব উদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী এই ফ্যাসিবাদী কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশব্যাপী বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপরে বেপরোয়াভাবে হত্যা, দমন-পীড়ন ও হামলা-মামলার যে নগ্ন তৎপরতা শুরু করেছে, তা তাদের উন্মত্ত ক্ষমতাকেই প্রকাশ করছে। সর্বশেষ মুন্সিগঞ্জে বিএনপির সমাবেশে ন্যক্কারজনক পুলিশি হামলা এবং বিএনপি কর্মী শাওনকে গুলি করে হত্যা রাজনৈতিক দমন-পীড়নের ইতিহাসে এক নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ দমনের নগ্ন হুমকি এই হত্যাযজ্ঞ ও হামলায় সরাসরি প্ররোচনা জোগাচ্ছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এইসব হামলা বন্ধ করে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
সভায় নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক দল রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা প্রীতম দাশের মুক্তি দাবি করে বলেন, সাম্প্রদায়িকতা উসকে দেওয়ার জন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রীতম দাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এবং তাকে গ্রেফতার করে এখন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করার পাঁয়তারা করছে। আন্দোলন দমনের এই ঘৃণ্য ও নোংরা পদ্ধতি সরকারের চরিত্রকেই পুনর্বার উন্মোচিত করল। নেতৃবৃন্দ সরকারকে হুঁশিয়ারি করে বলেন, এইসব হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন করে শেষ রক্ষা হবে না। গণআন্দোলনের মুখে খুব শিগগিরই সরকারের পতন হবে।
সভায় সারা দেশে হত্যা, হামলা-মামলা ও দমন-পীড়ন বন্ধের দাবিতে এবং সরকার ও শাসনব্যবস্থা বদলে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার আহবানে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টায় জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।