মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভারতীয় দূতাবাস আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ভারত সরকারের সঙ্গে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে বলেও খবর দিয়েছেন তিনি। মুত্তাকি ভারতের নিউজ চ্যানেল ‘সিএনএন নিউজ ১৮’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তালেবান সরকার কাবুলে অন্যান্য দেশের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশনগুলোর মতো ভারতীয় কূটনীতিকদেরও নিরাপত্তা রক্ষার নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ আসার পর বিশ্বের বহু দেশের মতো ভারত সরকারও কাবুলে নিজের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরিফ, কান্দাহার, হেরাত ও জালালাবাদে নিজের কনস্যুলেটগুলোও বন্ধ করে দেয় নয়া দিল্লি।
বিশ্বের কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও বহু দেশ তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক ও অর্থনৈতিক লেনদেন রক্ষা করে যাচ্ছে। এমনকি কাবুলে বহু দেশের দূতাবাসও চালু রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আফগানিস্তানের সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। কাবুলে যখনই যে সরকার ক্ষমতায় আসুক তার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে নয়াদিল্লি।
ভারতের নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য আফগানিস্তানের গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করা হয়।
আফগানিস্তানে প্রভাব বিস্তারে গত দুই দশকে চারশোরও বেশি সামাজিক-অর্থনৈতিক এবং বড় বড় কিছু অবকাঠামো প্রকল্পে ৩০০ কোটি ডলারেও বেশি বিনিয়োগ করেছে ভারত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ডজন ডজন প্রকল্প ছাড়াও, দিলারাম-জারাঞ্জ মহাসড়ক নামে ২১৮ কিমি দীর্ঘ গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক তৈরি করে দিয়েছে ভারত। কাবুলে নতুন আফগান পার্লামেন্ট ভবনটিও তৈরি করেছে তারা।
২০২১ সালে তালেবান যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করছিল তখন বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দিল্লির জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক ড. সঞ্জয় ভরদোয়াজ বলেছিলেন, বৃহত্তর আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অভিলাষ, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা এবং ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ভারতের জন্য আফগানিস্তান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ।
মধ্য এশিয়ার বাজারে ঢোকার জন্য ভারতের জন্য আফগানিস্তান খুবই জরুরি। আফগানিস্তানের ভেতর দিয়ে ইরান ও মধ্য এশিয়ার সাথে দুটো পাইপলাইন তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের। সূত্র : পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।