গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের দেয়া বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দিকে আসার সময় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এতে ছাত্রদলের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন দাবি করেন, ছাত্রলীগ নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা হামলা করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল থেকে দফায় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। সকাল পৌনে দশটার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথম হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় প্রায় ৪০ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী। আহত ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ঘুরে দাঁড়ায় ছাত্রদল। এসময় দু'পক্ষের মাঝে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয় প্রায় ১০জন ছাত্রদল নেতাকর্মী ও ৪জন ছাত্রলীগ কর্মী।
হামলায় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ঢাবি শাখার যুগ্ম-আহবায়ক এজাজুল কবির জুয়েল, জগন্নাথ হলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব মজুমদার, আহ্বায়ক সদস্য মানসুরা আলম, ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবসহ প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হন বলে দাবি করেন সংগঠনটি।
সরেজমিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সব জায়গায় বিভিন্ন হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শক্ত অবস্থান দেখা গেছে। এছাড়াও দিনব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও টিএসসি এলাকায় লাঠিসোঁটা ও রড নিয়ে মিছিল করতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।
তবে এসব বিষয় অস্বীকার করেন ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন। ছাত্রদলকে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামে। পরে তাদের সাথে একাট্টা হয় ছাত্রলীগ।
ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন, ছাত্রদল একটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এজেন্ডা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে। তাদের এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসে এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তাদের এই অবস্থানে সমর্থন জানিয়ে তাদের সাথে যোগ দেয়। ছাত্রদল একটা কিলিং মিশন নিয়ে ক্যাম্পাসে রাজনীতি করতে এসেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করার পায়তারা করছে যা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ হতে দিবে না। ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্যই আমাদের এই অবস্থান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।