Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভাঙ্গায় জমির বিরোধে কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর।

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ পিএম

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিন কালামৃধা গ্ৰামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (নভেম্বর) দুপুরে জায়গা জমি পরিমাপের সময় শালিশ বৈঠকের চলাকালীন সময় ফারুক মাতুব্বরের সন্তান নবীন মাতুব্বর (১৫) কে দেশীয় অস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ মান্নান মাতুব্বরের লোকজন।

কিশোর নবীন হত্যার প্রতিবাদে বিকেল বেলায় উত্তেজিত গ্রামবাসী বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনার স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানায়, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বরের সাথে জায়গা জমি সংক্রান্ত একটি সালিশ বৈঠক ছিল সকালে। সালিশ বৈঠকের ফাঁকে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এ সময় কিশোর নবীন মাতুব্বর দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয়। তাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে সন্ধ্যার সে মারা যায়। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের পরিবার থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
জানা যায়, ফারুক মাতুব্বর ও মান্নান মাতুব্বর গং দের সাথে জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব ছিল। বিষয়টি নিয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিঠু মাতুব্বর উভয়কে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবারে সকালে শালিশ বৈঠক শুরু হয়। দুপুর গড়িয়ে সালিশ বৈঠক শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শনিবার সালিশ বৈঠকের দিন ধার্য করা হয়। সালিশ বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক অপর চেয়ারম্যান নুরুল হক মাতুব্বর। সালীশ বৈঠকের শেষ পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজন সালিশ বৈঠক নিয়ে বাক বিতণ্ডায় জড়ায়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফারুক মাতব্বরের ছেলে নবীর মাতুবরবকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। স্থানীয় জনতা নবীন মাতুব্বরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর হাসপাতালে প্রেরণ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ