প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। বিবাহিত এই তারকা গায়কের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ছোটপর্দার এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপা খন্দকারের। সোহেল অটল-এর লেখা কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের জীবনী গ্রন্থ ‘আকবর ফিফটি নট আউট’-এ উঠে এসেছে এসব তথ্য। সাহস পাবলিকেশন্স থেকে সম্প্রতি বইটি প্রকাশিত হয়েছে। বইয়ে আসিফ ও দীপার প্রেমের উপাখ্যান বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন লেখক সোহেল অটল।
বইটি পড়ে জানা যায়, শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর আমেরিকা ট্যুরে গিয়ে আসিফ-দীপার ঘনিষ্ঠতা হয়। তাদের প্রেমের সূত্রপাত সেখান থেকেই। টানা কয়েক বছর প্রেম করার পর আসিফ আকবরকে বিয়ের জন্য চাপ দেন দীপা খন্দকার। আসিফকে তার স্ত্রী-সন্তান ছেড়ে আসার জন্যও বলেছিলেন দীপা।
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইয়ের ২৫১ নং পৃষ্ঠায় লেখা হয়েছে, একদিন রাত দুটোর সময় আসিফের সঙ্গে তার বাসায় যান দীপা খন্দকার। সেখানে গিয়ে আসিফের স্ত্রী মিতুর কাছে বিয়ের অনুমতি চান তিনি।
বইয়ে লেখা, ‘দীপা বললেন, আসলে আমেরিকা থেকে আমাদের সম্পর্কটা শুরু হয়। এখন ও আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে না। বলছে- দুই দিক একসাথে সামলাতে পারবে না। আপনি আমাদের বিয়ে করার অনুমতি দিন প্লিজ।’
বইয়ের সূত্রে জানা যায়, আসিফের স্ত্রী তাকে বিয়ের অনুমতি দেননি। তার কিছুদিন পরই দীপা খন্দকার বিয়ে করেন নির্মাতা শাহেদ আলী সুজনকে। আসিফের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়ে তড়িঘড়ি করে সুজনকে বিয়ে করেন দীপা।
‘আকবর ফিফটি নট আউট’ বইয়ের সূত্রে আরো জানা যায়, দীপা খন্দকারকে আমেরিকা পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন আসিফ। সেখানেই বিয়ে করে রাখতে চেয়েছিলেন দীপাকে। দীপা সে প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বই পড়ে জানা যায়, দীপা খদকারের সঙ্গে সিরিয়াস প্রেম ছিল আসিফ আকবরের।
বইয়ের ৩৬২ নং পৃষ্ঠায় দীপাকে নিয়ে লেখা আছে, ‘দীপার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কটা নেই, তবে শ্রদ্ধাটা রয়ে গেছে।’ দীপার কথা ভাবলে মনে হয়, দীপা ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মেয়ে ছিল বলেই তাকে ভালোবেসেছিলেন। শ্রদ্ধাবোধ থেকেই দীপার প্রতি অনুরক্ত হয়েছিলেন আসিফ।
উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালের ১০ জুলাই মাত্র উনিশ বছর বয়সে সালমা আসিফ মিতুর সঙ্গে ভালোবেসে ঘর বাঁধেন আসিফ আকবর। তার গানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে অনেক মেয়েই তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো কিন্ত সেই মেয়েদের জন্য দুঃখের বিষয় ছিলো আসিফ বিবাহিত ছিলো। আসিফের গান বাংলার মানুষের হৃদয়ে গেঁথে থাকবে যুগের পর যুগ। তিনি যে সকল গান বাংলার মানুষকে উপহার দিয়ে গেছেন তাই বাংলার মানুষের ধারণা এমন শিল্পী দ্বিতীয়টি আর পাওয়া যাবে কিনা তারা সংশয় প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।