Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘাটাইলের গৌরিশ্বর আশ্রয় কেন্দ্রের ঘরগুলোতে বড় বড় ফাটল

খসে পড়ছে পলেস্তার, আতঙ্কে দিন কাটে বাসিন্দাদের

টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ মে, ২০২২, ২:১১ পিএম

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার গৌরিশ্বর এলাকায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর বেহাল দশা। নির্মাণের কিছুদিন না যেতেই দেখা দেয় ফাটল। পরবর্তীতে সংস্কার করে দেয়া হলেও, বর্তমানে আবারও বড় বড় ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। খসে পড়ছে ঘরের পলেস্তার। বাসিন্দাদের দিন কাটে আতঙ্কে। নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।

জানা যায়, টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ২৭৬ টি ঘর বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে গৌরিশ্বর এলাকায় ভূমিহীনদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৪ টি ঘর। গৌরিশ^র এলাকায় আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪৪টি ঘরের মধ্যে বেশির ভাগ ঘর কিছুদিন না যেতেই দেখা দেয় ফাটল। নির্মাণ কাজে নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেন আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা। পরবর্তীতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশ্রয়ন কেন্দ্র পরিদর্শন করে তা মেরামতের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু কিছুদিন পরেই আবারো একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বেশিরভাগ ঘরে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। খসে পড়ছে পলেস্তার। ঝড় আসলে আতঙ্কে দিন কাটে গৌরিশ^র আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দাদের। এছাড়াও পানি ও পয়ঃনিস্কাশন সমস্যাসহ রয়েছে নানাবিধ সমস্যা। সংবাদকর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে ফাটল মোছানোর কাজে হাত দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

গৌরিশ^র আশ্রয়কেন্দ্রের ১ নম্বর ঘরের মাজেদা, ৫ নম্বর ঘরের পারভিন, ৬ নম্বর ঘরের শিল্পী ও ১১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা লিজাসহ আরও অনেকে বলেন, মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আমরা অনেক খুশি। কিন্তু ঘর নির্মানে অনিয়ম ও নি¤œমানের সামগ্রী ব্যবহার করায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। পলেস্তার খসে খসে পড়ছে। ঝড়ের সময় শিশু সন্তান নিয়ে আতঙ্কে দিন পার করতে হচ্ছে। যে খুশিতে ঘরে উঠছিলাম তা আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। মাঝে মধ্যে ফাটল মেরামত না করে স্থায়ী মেরামত ও ঘর পুনঃনির্মাণের দাবি জানিয়েছেন তারা।

তারা আরও জানান, আশ্রয়ন প্রকল্পের রাস্তার সমস্যা। আশেপাশে কোন মসজিদ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। অনেক দুরবর্তি স্থানে স্কুলে ছেলে মেয়ে দের নিয়ে যেত হয়। এতে আমাদের সংসারে কাজের ক্ষতি হয়।

এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাটির কারনে কয়েকটি ঘরে সমস্যা দেখা দিয়েছে। ঠিকাদারদের বলে তা মেরামত করে দেয়া হবে। ঘর নির্মানের আগে মাটি পরীক্ষা করে নেয়া হয়েছিলো কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আশ্রয়ণ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ