বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পঞ্চগড়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর হস্তান্তরের আগেই প্রকল্পের ঘরে পলেস্তরা খসে পড়ছে। বারান্দার খুঁটি নরবরে, দেয়াল ও মেঝেতে ফাটল, টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ছে। এছাড়া উপকারভোগীদের কাছ থেকে ঘর নির্মাণের জন্য সিমেন্ট, বালি ও অর্থ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছেন, ছোট ছোট অভিযোগগুলো সমাধান করা হয়েছে।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে সদর উপজেলায় ৩০০টি ভূমিহীন পরিবারকে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে একটি সেমিপাকা গৃহনির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি গৃহনির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। সরেজমিনে মৌলভীপাড়া, সর্দারপাড়া, সোনারবান, পুকুরী ডাঙ্গা, শিপাহী পাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রকল্পের বিভিন্ন ঘরের দেয়াল ও মেঝে ফেটে গেছে। এছাড়া পলেস্তরা খসে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই টিনের চালার বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি পড়ছে। বারান্দার খুঁটি নরবরে। কোনো ঘরের দেয়াল ভেঙে পুনরায় করা হয়েছে।
কামাত কাজরদিঘী ইউনিয়নের শিপাহীপাড়া এলাকার আফজাল হোসেন জানান, নিম্নমানের ইট, বালু ও কাঠ ব্যবহার করে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। বারান্দার খুঁটি নড়ছে, যেভাবে কাজ হয়েছে, তাতে মনে হয় এসব ঘর বেশিদিন টিকবে না। তার কাছে জমি রেজিস্ট্রি খরচ বাবদ ইউপি সদস্য দুই হাজার টাকা নিয়েছেন। রাজমিস্ত্রি বক্কর ৮ বস্তা সিমেন্ট ও বালি নিয়ে এসে ফোন দিতে বলছেন। আনতে না পারলে ঘরের মেঝে ঢালাই হবে না বলে জানিয়েছেন ওই মিস্ত্রি। অমরখানা ইউনিয়ন সোনারবান আর্দশ গ্রামের উপকারভোগী খাদিজা, শহিদা, মমেনা, ছলেমান, সবিজা বেগম, রাবেয়াসহ একাধিক উপকারভোগী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ঘর দেয়ার কারণে আমরা অনেক খুশি হয়েছি। কিন্তু খসে যাচ্ছে ঘরের পলেস্তরা, ফাটে যাচ্ছে দেয়াল। এছাড়া মেঝে বৃষ্টি পড়ছে। যার কারণে ঘরে থাকতেও পারি না। সদর ইউনিয়নের উপকারভোগী নিরব বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে যেভাবে ফাটল দেখা দিয়েছে ঘরটি যেকোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে। ভাঙন আতঙ্কে তারা দিনাতিপাত করছেন।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত) মো. জাকির হোসেন জানান, প্রকল্পের নকশা ও প্রাক্কলন অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। দুই একটি জায়গায় কাজের অভিযোগ পেলেও সেগুলো ঠিক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান, আমার জানামতে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় এ ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।