বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মুজিবর্ষে ‘আশ্রায়ন-২ প্রকল্প’র আওতায় প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ে বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় নির্মিত ও নির্মানাধীন ঘরগুলোর নির্মান কাজ পর্যবেক্ষনে ৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার বৃহস্পতিবার ওই ৫ কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিগুলোকে ৭ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে আশ্রায়ন প্রকল্প- ২ এর মাধ্যমে বরিশাল জেলায় চলমান জমি ও গৃহহীনদের ঘর প্রদান কার্যক্রমের তথ্য অবহিত করতে সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার ও অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল হাসান বাদল।
জেলা প্রশাসক মো. জসীম উদ্দীন হায়দার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ও নির্মানাধীন ঘরগুলোর নির্মান শৈলী, গুনগত মান, অনুমোদিত ডিজাইন ও প্রাক্কালন অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে কিনা তা যাচাই ও পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেলার মেহেন্দিগঞ্জ ও বানারীপাড়া উপজেলায় নির্মানাধীন ঘরের পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের প্রধান করা হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলামকে। গৌরনদী ও আগৈলঝাড়ার পর্যবেক্ষণ কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস, বরিশাল সদর ও উজিরপুর উপজেলার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ, হিজলা ও মুলাদী উপজেলা কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রকিবুর রহমান খান এবং বাকেরগঞ্জ ও বাবুগঞ্জ কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সোহেল মারুফ। পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে সকল ইউএনও এবং গৃহনির্মান সংশ্লিষ্ট সকল সদস্যদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
অপরদিকে মেহেন্দিগঞ্জে হস্তান্তরের আগেই নির্মিত ঘর ভেঙ্গে পড়ার বিষয়টি তদন্তে বিভাগীয় করিশনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিন গঠন করেছেন।
বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় প্রথম ধাপে এক হাজার ৯টি ঘর উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রথম ধাপের আরও ৫৪৭টি ঘর নির্মানের কাজ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে হস্তান্তর করা হয়েছে ২১৮টি ঘর। শেষের পথে আরও ৩৩১টি ঘর নির্মান কাজ।
সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার বলেন, জেলার সকল উপকারভোগী পরিবার সদস্যদের আয় বর্ধক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় নেয়া হবে। যাতে তারা সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত হয়ে জীবনমানে উন্নয়নে সক্ষম হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।