গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হিজাব-নিকাব পরার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয় দাবি করে ক্যাম্পাসে `হিজাব-নিকাব পরার স্বাধীনতা' নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে।
`প্রোটেস্ট সেল অ্যাগেইনস্ট হিজাবোফোবিয়া ইন ডিইউ' নামের একটি প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আছেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জামালুদ্দীন মুহাম্মদ খালিদ।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী তাসফিহা তাহসিন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা দুই মাস ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হিজাবোফোবিয়া (হিজাবভীতি) নিয়ে একটি জরিপ পরিচালনা করেছি। এ প্রক্রিয়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে যা জানতে পেরেছি তা থেকে বলা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব-নিকাব পরার অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকাব পরা অধিকাংশ ছাত্রী কখনো না কখনো অপমান, উত্ত্যক্ত, হেনস্তা বা বুলিংয়ের শিকার হন। সহপাঠী, সিনিয়র-জুনিয়র, কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকদের কেউ কেউ হিজাব ও নিকাব পরা ছাত্রীর প্রতি বিরূপ আচরণ করেন।
জরিপে একটি প্রশ্ন ছিল, হিজাব-নিকাবের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বা হলে আপনি কোনো বৈষম্যের সম্মুখীন হয়েছেন কি না। জরিপে অংশ নেওয়া ২২১ জন ছাত্রীর মধ্যে `হ্যাঁ' বলেছেন ৭৩ জন, `না' বলেছেন ১৪৮ জন। আরেকটি প্রশ্ন ছিল, হিজাব-নিকাবের কারণে কোনো শিক্ষক, কর্মচারী বা সহপাঠীর বিরূপ মন্তব্যের শিকার হয়েছেন কি না। এর উত্তরে `না' বলেছেন ১৪১ জন ও `হ্যাঁ' বলেছেন ৮০ জন।
হিজাব-নিকাব নিয়ে `বিদ্বেষমূলক আচরণ, বাজে মন্তব্য ও কটূক্তির' বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জিরো টলারেন্স (শূন্য সহিষ্ণুতা) নীতি অনুসরণ ও ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের নামাজের জায়গার সংকট নিরসনের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী সানজিদা আক্তার, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের নাসিফা সিদ্দিকা, নিশাত তামান্নাসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ জন ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।