চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন : আমি কি আমার মেয়ের নাম জাসিয়া হুসেন রওজা রাখতে পারি? দয়া করে জানাবেন।
উত্তর : রাখতে পারেন। কারণ এর তিনটি শব্দের কোনোটিই ইসলামবিরোধী কিছু বোঝায় না। অর্থবোধক ও রাখার উপযুক্ত নাম।
প্রশ্ন : আমি গত কয়েকদিন আগে আসরের নামাযে সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়েছে ভেবে সাহু সেজদা করি, পরে ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বললেন আপনার ওপর সাহু সেজদা ওয়াজিব হয়নি এখন আমি জানতে চাচ্ছি বিনা প্রয়োজনে সাহু সেজদা করার কারণে আমার নামায হয়েছে কিনা?
উত্তর : না জানা অবস্থায় সাহু সেজদা করলে নামাজ হয়ে যাবে। পরে জানার কারণে মনে খুঁত খুঁত ভাব তৈরি হলে সাবধানতা বশত: কাজা করে নিন। তবে এসবক্ষেত্রে শরীয়ত অনেক ছাড় দিয়ে রেখেছে। বিশেষ করে মাসয়ালা না জানা অবস্থায় যেসব নামাজ সামান্য ব্যতিক্রমসহ মানুষ পড়ে থাকে।
প্রশ্ন : হিজাব পড়ে ফেসবুকে ছবি আপলোড করলে এবং সেই ছবিতে অন্যরা লাইক দিলে কি গুনাহ হবে? অনেকে আবার মাশাল্লাহ সুবহানাল্লাহ ইত্যাদি কমেন্ট করেন এগুলো কি জায়েজ হবে?
উত্তর : পূর্ণ হিজাব করে ছবি আপলোড করলে কবিরা গুনাহ নাও হতে পারে। যদি চেহারা মোটেও দেখা না যায়। এখন যারা ‘মাশাল্লাহ’, ‘সুবহানাল্লাহ’ লিখে কমেন্ট দেয় তাদের উদ্দেশ্য কী, তার ওপর নির্ভর করে সওয়াব বা গুনাহ হওয়া। কেউ যদি হিজাবকে উৎসাহিত করার জন্য এমন করে তাহলে গুনাহ হবে না। তবে কেউ যদি কোনো নারীর সাথে সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, পজেটিভ ইভটিজিং কিংবা ভালো চেহারায় নফসের খায়েশ মেটানোর জন্য এমন করে তাহলে গুনাহগার হবে। শরিয়তের এসব পবিত্র বাক্য অজায়গায় ব্যবহারের কারণে ঈমানের ক্ষতি হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। এ গুনাহগুলোর জন্য আপলোডকারী মহিলাও কমবেশি দায়ী হবে।
প্রশ্ন : কোনো ভাস্কর্য বা ইমারতকে ফুল দিয়ে সম্মান দেখানো কি ইসলামসম্মত?
উত্তর : ইসলামসম্মত নয়। ইসলামে পবিত্র কাবা শরিফ ও হাজরে আসওয়াদের সাথে যেমন সম্পর্ক ও আচরণ সুন্নাহসম্মত এর বেশি কিছু করলেও গোনাহ হয়।
মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনার মসজিদে নববী ও ফিলিস্তিনের বাইতুল মাকদিস এ তিনটি মসজিদ ছাড়া বিশেষভাবে নেকি লাভের উদ্দেশ্যে অন্য কোনো মসজিদে যাওয়ারও বিধান রাখা হয়নি। যে স্থানগুলোকে আল্লাহ ও রাসূল সা. ইসলামের প্রতীক বা বিশেষ মর্যাদার স্থান বলে ঘোষণা দিয়েছেন, সেসব ছাড়া অন্য কোনো স্থাপনা বা জায়গা ইসলামে ‘পবিত্র’, ‘মহান’ ইত্যাদি গুণেও গুণান্বিত নয়। অতএব, বাধ্যতামূলকভাবে কোথাও জুতা খুলে যাওয়া, নত হয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, বিশেষ মর্যাদা প্রদান, পবিত্র ও মহান বলে অভিহিত করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। যদি করা হয়, তাহলে তা বিদআ’ত কিংবা শরিয়ত বিরোধী হবে।
-আল্লামা মুফতী উবায়দুর রহমান খান নদভী
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।