Inqilab Logo

রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বিশ্বকাপ থেকেই বাদ দেওয়ার দাবি ফ্রান্সের!

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মার্চ, ২০২২, ১২:০২ এএম

ডোপ কেলেঙ্কারির কারণে অলিম্পিক গেমসে নিজেদের জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত ব্যবহার করতে পারে না রাশিয়া। এবার আরেক বৈশ্বিক আসরেও একই পরিণতি হলো দেশটির। ফিফার অধীনস্থ ম্যাচগুলোতে নিজেদের পতাকা ও সঙ্গীত ছাড়া ফুটবল ইউনিয়ন অব রাশিয়া নামে খেলতে হবে তাদের। রাশিয়ান বাহিনীর ইউক্রেনে আক্রমণকে কেন্দ্র করে এ সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। কার্যত এটাই দেশটির বিপক্ষে তাদের প্রথম পদক্ষেপ। গতকাল এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রা সংস্থাটি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত হোম ম্যাচগুলো বাইরে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার নির্দেশ দেয়। ফিফার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিরপেক্ষ ভেন্যুতে রাশিয়ার ‘হোম ম্যাচে’ স্টেডিয়ামে দর্শকও থাকবে না।
ইউক্রেনে আক্রমণের এক দিন পরই রাশিয়া আপাতত কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে না বলেই জানিয়েছিল ফিফা। হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। শেষ পর্যন্ত নিরপেক্ষ ভেন্যুতেও নিজ দেশের পতাকা ও সঙ্গীত ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা পেল তারা। এর আগে অবশ্য রাশিয়ার বিপক্ষে খেলতেই অস্বীকৃতি জানায় পোল্যান্ড, সুইডেন ও চেক রিপাবলিক। আর গতকাল রাশিয়াকে ২০২২ বিশ্বকাপ থেকেই বাদ দিতে ফিফার প্রতি আহ্বান জানালেন ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) প্রেসিডেন্ট নুয়েল লু ঘায়েত। ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে পারিসিয়েনের সঙ্গে আলাপচারিতায় জানান, রাশিয়াকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেওয়া হলে এর বিরোধিতা করবেন না তিনি, ‘এই বিষয়ে আমি এখনও অন্যান্য ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করিনি। আগামী বিশ্বকাপ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার পক্ষে আমি। এটা আমার প্রথম ভাবনা। আমি মনে করি, খেলাধুলা মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে এবং দুশ্চিন্তা কমায়। কিন্তু বিষয়টা অনেক দূর এগিয়ে গেছে। আর খেলাধুলার বিশ্ব, বিশেষ করে ফুটবল নিরপেক্ষ থাকতে পারে না। আমি অবশ্যই রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার বিরোধিতা করব না।’
চার বছর আগে বিশ্বকাপের সবশেষ আসর বসেছিল রাশিয়াতেই। মস্কোর ফাইনালে ক্রোয়েশিয়াকে ৪-২ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ফ্রান্স। এই বছরের শেষ দিকে কাতারে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইপর্ব থেকে সরাসরি খেলার টিকেট পায়নি রাশিয়া। তবে এখনও সুযোগ আছে তাদের সামনে। বাছাইয়ের প্লে-অফে সূচি অনুযায়ী আগামী ২৪ মার্চ পোল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলার কথা রাশিয়ার। ম্যাচটি রাশিয়া জিতলে সেখানেই ২৯ মার্চ সুইডেন অথবা চেক রিপাবলিকের মুখোমুখি হবে তারা। সেখানেও জিতলে মিলবে কাতারের টিকেট।
তবে দলের নাম ও পরিস্থিতি বদলালেও নিজেদের অবস্থান বদলায়নি পোল্যান্ড, সুইডেন ও চেক রিপাবলিক। রাশিয়ার বিপক্ষে তারা খেলবে না বলেই জানায় তারা। ফিফার সিদ্ধান্তকে ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন পোলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সেসারে কুলেসা, ‘আমরা এই ম্যাচে অংশ নিতে আগ্রহী নই। আমাদের অবস্থান আগের মতোই- দলের নাম যাই হোক না কেন, পোলিশ জাতীয় দল রাশিয়ার সঙ্গে খেলবে না।’ একই দিন ইংল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও ঘোষণা দেয়, রাশিয়ার বিপক্ষে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ তারা খেলবে না।
ফিফার সিদ্ধান্তে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা তুলে ধরেন সুইডিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট কার্ল-এরিক নিলসনও। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফিফার আরও কঠোর অবস্থান আশা করেছিলেন বলে তিনি। তার এই অঅকুতি সত্যিও হতে পারে। ফিফার এদিনের সিদ্ধান্ত আপাত রাশিয়ান ফুটবলের কিছুটা পক্ষে গেলেও আগামীতে নতুন শাস্তি যোগ হওয়ার শঙ্কা আছে। সংস্থাটি তাদের বিবৃতিতে আরও বলেছে, রাশিয়াকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে বহিষ্কার করা উচিত কি-না, তা নিয়ে অন্যান্য ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। আগামী জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় মেয়েদের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়শিপে সুইডেন, নেদারল্যান্ডস ও সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে একই গ্রুপে আছে রাশিয়া।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ