মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার পর এবার ইউক্রেনে গিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। সেখানে তিনি বৈঠক করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের জেলেনস্কির সঙ্গে। বৈঠকের পরে উত্তেজনা কমার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ম্যাখোঁ।
আগেরদিন সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ম্যাখোঁ। এরপর মঙ্গলবার ইউক্রেনে গিয়ে তিনি দেখা করেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। ইউক্রেনকে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে পিছু হঠতে রাজি হয়েছেন পুতিন। উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’
জবাবে ম্যাখোঁর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি। একইসঙ্গে বলেছেন, পুতিনের পদক্ষেপের দিকে তারা নজর রেখেছেন। তিনি যা বলছেন তা সত্য, না কি এর পিছনে অন্য খেলা আছে, ইউক্রেন সে দিকে নজর রেখেছে। পুতিনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করেছিলেন ম্যাখোঁ। জেলেনস্কির সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুতিন ২০১৫ সালের মিনস্ক চুক্তিকে গুরুত্ব দেন। ওই চুক্তি যাতে রক্ষিত হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেছে রাশিয়া।
বস্তুত, ক্রাইমিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে মিনস্কের চুক্তি সই হয়েছিল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই তরফই স্থিতাবস্থার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। এবারেও যাতে সেই চুক্তি রক্ষিত হয়, তা নিয়ে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে ফ্রান্স। পুতিন তাতে সম্মত হয়েছেন বলে ম্যাখোঁর দাবি।
ম্যাখোঁর সামনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব তার কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়। তার সঙ্গে কোনোরকম আপস করা সম্ভব হবে না। ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, পুটিনের সঙ্গে তার কথা আশাপ্রদ হয়েছে। পুতিনকে তিনি বলেছেন, বেলারুশে রাশিয়ার স্থায়ী সেনা ছাউনি বানানো যাবে না।
বস্তুত, বেলারুশে প্রায় ৩০ হাজার সেনা পাঠিয়ে রেখেছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরেও রাশিয়ার নৌবহর পৌঁছে গেছে। রাশিয়াকে এই সবকিছুই ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন ম্যাখোঁ। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া তাতে সম্মত হয়েছে বলে ম্যাখোঁর দাবি। জেলেনস্কিকে ম্যাখোঁ জানিয়েছেন, অতি দ্রুত নর্ম্যান্ডি রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে বৈঠক হবে। এই রাষ্ট্রগুলিই মিনস্ক প্রোটোকলে অংশ নিয়েছিল।
ম্যাখোঁর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের ঠিক আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতি পেশ করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, তারা বৈঠকে আগ্রহী। কিন্তু ইউক্রেন কখনোই আপসের লাল রেখা পার করবে না। অর্থাৎ, চাপের মুখে রাশিয়ার আগ্রাসন তারা মেনে নেবে না। সূত্র: রয়টার্স, এএফপি, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।