Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনা শুরু করা উচিত : জাতিসংঘ

ইউক্রেন ইস্যু নিয়ে ন্যাটোতে ফাটল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টেফানি ট্রেম্বলে বলেছেন যে, সুযোগ উপস্থিত হওয়া মাত্র রাশিয়া ও ইউক্রেনের উচিত আলোচনায় নিযুক্ত হওয়া। তিনি বলেন, ‘মহাসচিব... অতীতে বেশ কয়েকবার ইউক্রেন ও রাশিয়ার শান্তি আলোচনার বিষয়ে তার আশা প্রকাশ করেছেন। যদি কোনো সম্ভানার জানালা খোলা থাকে, তবে আসুন এটিকে কাজে লাগাই’। বুধবার মার্কিন জয়েন্ট চিফস চেয়ার জেনারেল মার্ক মিলি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে আলোচনার সুযোগ উভয় পক্ষকে তা গ্রহণ করার আহ্বান জানানোর পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রেম্বলে একথা বলেন। মিলি নিউইয়র্কের ইকোনমিক ক্লাবে একটি বক্তৃতায় বলেন, ‘এখানেও একটি সুযোগ রয়েছে, আলোচনার সুযোগের একটি উপায়।’

এর আগে, সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর সাথে আলোচনা শুরুর অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। মার্কিন সংবাদপত্র পলিটিকোর মতে, জেলেনস্কির এ নতুন পরিবর্তনটি সরাসরি বাইডেন প্রশাসনের চাপ প্রয়োগের কারণে ঘটেছে। পলিটিকো বলেছে, মার্কিন প্রশাসন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে আলোচনার অসম্ভবতার অটল অবস্থান তাগ করতে জেলেনস্কিকে আহ্বান জানিয়েছে। রাশিয়ার সাথে আলোচনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কির প্রস্তুতি একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দলের অভ্যন্তরীণ মতবিভক্তি এবং অন্যদিকে ন্যাটোর ভেতরের বিভক্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে।

তুরস্কের কুমহুরিয়েত পত্রিকার কলামিস্ট বারিস দস্তারের মতে, ‘অবশেষে, যা প্রত্যাশিত ছিল তা ঘটেছে। ইউক্রেনের প্রধান গণমাধ্যমগুলো ইতোমধ্যে বেশ কয়েক দিন ধরে বলছে, রাশিয়ার সাথে আলোচনায় ফিরে আসার জন্য ইউক্রেনের ওপর মার্কিন চাপের ফলাফল এসেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন যে, তিনি রাশিয়ার সাথে আলোচনার জন্য উন্মুক্ত এবং এর জন্য তিনি বেশ কয়েকটি শর্ত রেখেছিলেন। এ বিবৃতি কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের পরিস্থিতি সম্পর্কেই ধারণা দেয় না, বরং এটি উত্তর আটলান্টিক জোটের (ন্যাটো) মধ্যকার বিভেদটিকেও প্রতিফলিত করে।

দস্তারের মতে, ‘যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের উপর আগের মতো প্রভাব রাখে না এবং তার প্রতিপক্ষ ও প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নয়। ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ আবারও তা প্রমাণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও জার্মানি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। উত্তর কোরিয়া থেকে ইরান, সিরিয়া থেকে কিউবা পর্যন্ত অনেক দেশই যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিহত করে। সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা প্রসারিত হচ্ছে। বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উন্নতি করছে।’

দস্তার আরো বলেন, ‘তেল উৎপাদন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরবের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক এবং তারা যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে তা সর্বজনবিদিত। ভুলে গেলে চলবে না যে, নেদারল্যান্ডস রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।’ তিনি উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বে শৃঙ্খলা আরোপ করার এবং নতুন নিয়ম প্রবর্তনের ক্ষমতা নেই। (মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা) মতবাদটি ছিল অত্যন্ত উদ্দেশ্য প্রণোদিত, অতি স্বার্থপর, খুবই নিন্দনীয়। সূত্র : তাস।



 

Show all comments
  • Md Zamir Hossain ১২ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৬ পিএম says : 0
    এ যুদ্ধ শুধু রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ নয়। এ যুদ্ধ পূর্ব ও পশ্চিমাদের যুদ্ধ। আমেরিকা ইউরোপীয়দের সাথে নিয়ে সারা পৃথিবীতে যে স্বৈরাচারী একক স্বার্থান্নেশী আধিপত্য কায়েম করেছিল তার বিরুদ্ধে। আর এ যুদ্ধে পশ্চিমাদের পরাজয় শুরু হয়েছে। রাশিয়া ও চীন চাইনা সহসাই এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি হউক। যুদ্ধটাকে কন্টিনিউ করার জন্যই এটা একটি কৌশল মাত্র।
    Total Reply(0) Reply
  • Shamimul Islam Shamim ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    খেরসন থেকে কেনো রুশ সৈন্যবাহিনীকে প্রত্যাহার করা হল?..
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sirajul Islam ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    রুশ সৈন্য চলে যাওয়া পর রাশিয়া খেলা শুরু করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hafiz Khan ১২ নভেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    নতুন কৌশল মনে হচ্ছে
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ