Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খুলনায় বিএনপিতে নেতা কর্মীদের পদত্যাগের হিড়িক

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০১ পিএম

নব গঠিত মহানগর ও জেলা আহবায়ক কমিটিকে প্রত্যাখান করে খুলনা বিএনপিতে গণপদত্যাগের হিড়িক পড়েছে। যারা পদত্যাগ করছেন, তারা সবাই সদ্য সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অনুসারী। নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অতি সম্প্রতি নগর বিএনপির সভাপতি ও বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে কেন্দ্র। গত কয়েকদিনে প্রায় হাজার খানেক মঞ্জুর অনুসারী বিভিন্ন দায়িত্বপূর্ণ পদ থেকে অব্যহতি নিয়েছেন। স্পষ্টত, খুলনা বিএনপিতে এখন নয়া মেরুকরণ দেখা দিয়েছে।

গত সোমবার সন্ধ্যায় খালিশপুর থানার ৯ টি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা ৩ শতাধিক নেতা কর্মী নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। ওই রাতে বিএনপি নেতা এড. ফজলে হালিম লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় খুলনা মহানগর বিএনপি’র বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে বিষদ আলোচনা হয়। সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে খালিশপুর থানার ৯টি ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক ও নেতা-কর্মীরা পদত্যাগ করেন।

সভায় বক্তারা বলেন, খুলনা মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ৪৪ বছরের পরীক্ষিত এক নেতা। যিনি দলীয় নেতা-কর্মীকে বিপদে-আপদে, সুখে-দুঃখে আগলে রেখে একজন নির্ভর যোগ্য অভিভাবকের আসনে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তাই যোগ্য নেতৃত্বেও অবমূল্যায়নের কারনে খালিশপুর থানা বিএনপি থানা বিএনপি’র অন্তর্গত ৯টি ওয়ার্ড ও সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দলের পদ পদবী থেকে পদত্যাগ করেছেন।।

এর আগে, ২৬ ডিসেম্বর নগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৫৬১ জন নেতা কর্মী একযোগে পদত্যাগ করেন। এছাড়া ২৫ ডিসেম্বর খালিশপুর থানা বিএনপিসাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু পদত্যাগ করেন। সব মিলিয়ে খুলনা বিএনপিতে পদত্যাগের হিড়িক পড়েছে।

এ বিষয়ে নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দল তার প্রতি অবিচার করেছে। আমি দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে বিএনপি করি। বিএনপির কর্মী আমি। কখনও শৃঙ্খলাভঙ্গ করিনি। দলের সকল কর্মসূচি সততা, নিষ্ঠার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছি। খুলনায় সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সাহসী পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছি। দল গঠনে আমি অনিয়মের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রতিকার পাইনি। বরং দল পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর সম্মেলনের মাধ্যমে নজরুল ইসলাম মঞ্জু সভাপতি ও খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর এ কমিটি ১৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করে। এই কমিটিই এতদিন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছিল।

গত ৯ ডিসেম্বর খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে খুলনা মহানগরে অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা ও জেলায় আমির এজাজ খানকে আহবায়কের দায়িত্ব দেয়া হয়। আহবায়ক কমিটিতে স্থান পাননি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও মনিরুজ্জামান মনি। দু দিন পর সংবাদ সম্মেলন করে এর প্রতিবাদ জানান মঞ্জু। দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে এরপরই মঞ্জুকে দলের দুটি পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ