মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আগামী সোমবার ২৭ ডিসেম্বর অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইরানের সঙ্গে ফের পাঁচ বিশ্ব শক্তির ‘২০১৫ সালের পরমাণু পুনর্জীবনী’ আলোচনা শুরু হচ্ছে। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ইরান পরমাণু কর্মতৎপরতা চালাতে থাকলে স্মরণীয় এই চুক্তি বিলুপ্ত হতে পারে এমন আশঙ্কার মধ্যে ফের আলোচনা শুরুর ঘোষণা আসলো।
আলোচনা শুরুর বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতিক এনরিক মোরা বলেন, আগামী ২৭ ডিসেম্বর ভিয়েনা আলোচনা শুরু হবে। জয়েন্ট কম্প্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশনের আলোচনা ও করণীয় এগিয়ে নিতেই তারা বসবেন বলে জানান তিনি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে ভিয়েনায় সপ্তম দফা ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি ২০১৫ এর পুনর্জীবনী আলোচনার শুরু হয়। গত সপ্তাহে এই আলোচনা সমাপ্ত হয়। আগামী সোমবার অষ্টম দফা আলোচনা শুরু হবে।
ইরানের ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে বিশ্ব শক্তিগুলো ভিয়েনায় ব্যক্তিগত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আলোচনায় তেমন কোনো ফল দেখা যাচ্ছে না। জনসাধারণের দৃষ্টিতে ইরান ও পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বেড়েই চলেছে।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশগুলো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পরমাণু চুক্তি করেছিল।
ইরানের সঙ্গে হওয়া এই পরমাণু চুক্তির আনুষ্ঠানিক নাম জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (জেসিপিওএ)।
চুক্তি মোতাবেক ইরান পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়েছিল। তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইউরেনিয়ামের মজুত কমিয়ে আনতে রাজি হয় দেশটি। এই ইউরেনিয়াম পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এ ছাড়া ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার জন্য ব্যবহৃত সেন্ট্রিফিউজের সংখ্যা কমিয়ে আনার শর্তও ছিল চুক্তিতে।
এসব শর্ত মেনে চলার বদলে ইরানের ওপর আরোপ করা বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। বিশেষ করে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে ২০১৮ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এক বছর অপেক্ষা করে ইরান। এরপর ধীরে ধীরে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি বাড়ায় এবং এখন ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি উন্নত সেন্ট্রিফিউজ ব্যবহার করছে।
তবে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) নিশ্চিত করেছে যে, দেশটি পারমাণবিক বোমার জন্য প্রয়োজনীয় ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধতার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেনি। ইরানও ক্রমাগত বলে আসছে যে তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পথে হাঁটবে না।
ভিয়েনায় নতুন করে ওই চুক্তিতে ফেরা নিয়ে আলোচনার বিষয়ে ইউরোপের তিনটি দেশের আলোচকেরা সতর্ক করে বলেছেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অগ্রগতির আলোকে আলোচনায় দ্রুত অগ্রগতি না হলে জেসিপিওএ শিগগিরই একটি খালি কলস হয়ে উঠবে। সূত্র : আল জাজিরা
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।