মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি সোমবার সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের একটি বিবৃতির সমালোচনা করেছেন। ওই বিবৃতিতে কারজাই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে বিরাজমান পরিস্থিতির জন্য পূর্ববর্তী সরকারের ‘দুর্নীতি’ দায়ী বলে করা মন্তব্যের জন্য তিরস্কার করেছিলেন৷
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রোববার ইসলামাবাদে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন কাউন্সিলের (ওআইসি) ১৭ তম বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার সময় এই মন্তব্য করেছিলেন, যেখানে তিনি আরও বলেছিলেন যে, পাকিস্তান আফগানিস্তানের মাটি থেকে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।
ইমরান খানের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, কারজাই বিবৃতিগুলোকে ‘আফগানদের মধ্যে বিভেদ বপন করার প্রচেষ্টা এবং আফগান জনগণের অপমান’ বলে বর্ণনা করেছেন। তার টুইটারে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাকিস্তান সরকারের উচিত ‘আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে কঠোরভাবে বিরত থাকা’। ‘পাকিস্তানের উচিত আন্তর্জাতিক ফোরামে আফগানিস্তানের পক্ষে কথা বলা এড়িয়ে চলা। তাদের উচিত দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক এবং সভ্য সম্পর্ক তৈরির জন্য কাজ করা,’ কারজাই লিখেছেন।
আফগানিস্তান থেকে উদ্ভূত আইএসের হুমকির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে, ‘অভিযোগ’ যে দেশে আইএস সক্রিয় ছিল এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘এটি (একটি) স্পষ্ট প্রচারণা কারণ বাস্তবতা তার বিপরীত’। তিনি বলেন, ‘আইএসআইএসের হুমকি প্রথম থেকেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পাকিস্তান থেকে নির্দেশিত হয়েছে।’
সোমবার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মুত্তাকি কারজাইয়ের বক্তব্যের নিন্দা করেছেন। ইসলামাবাদ থেকে কাবুলে ফিরে আসার পর, যেখানে তিনি আফগানিস্তান বিষয়ে ওআইসি-এর অধিবেশনে বক্তৃতা করেছিলেন, মুত্তাকি সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরানের মন্তব্যে ‘অপমানজনক’ কিছু খুঁজে পাননি। তিনি বলেন, ‘আমি ইমরান খানের মন্তব্য সম্পর্কে অবমাননাকর কিছু দেখছি না যার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দিতে হবে। এটি একটি ইতিবাচক সম্মেলন ছিল এবং এর ইতিবাচক ফলাফল রয়েছে তাই আমাদের এটিকে নেতিবাচকভাবে নেয়া উচিত নয়।’
মুত্তাকি বলেন, ‘তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল যে, ইমরান খান সাবেক আফগান সরকারগুলোর নিন্দা করেছিলেন এবং আমি বিশ্বাস করি, সে কারণে অতীতের সরকারগুলোর কর্মকর্তারা কিছু প্রতিক্রিয়া দেখাতে বাধ্য হয়েছিলেন।’ তিনি যোগ করেছেন যে, সভায় বিভিন্ন মতামত এবং পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘(এবং আরও) গুরুত্বপূর্ণভাবে, সম্মেলনে সমস্ত অংশগ্রহণকারীরা আফগানিস্তানের পক্ষে কথা বলেছিলেন।’ আফগানিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মুত্তাকির মন্তব্য পোস্ট করা হয়েছে। সূত্র: ডন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।