Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত ছাগল জবাই করে নেয়া হচ্ছিল হোটেলে, জরিমানা ১ লাখ ৬০ হাজার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ৭:৩২ পিএম

রাজশাহীতে ১৫০ কেজি মৃত ছাগলের মাংস, চারটি মৃত ছাগল এবং ২৭টি রুগ্ন ও অসুস্থ ছাগল জব্দ করা হয়েছে।এর সঙ্গে জড়িত থাকায় চারজনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আরেফিন জুয়েল।

ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থেকে পিকআপযোগে মৃত ছাগলের মাংস রাজশাহী শহরে নিয়ে আসছে। এসব মাংস বিভিন্ন খাবার হোটেলে সরবরাহ করা হবে। এমন খবরে শনিবার বিকেল ৫টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের বালিয়ার মোড়ে পিকআপ আটকে তল্লাশি করা হয়। এ সময় ১৫০ কেজি মৃত ছাগলের মাংস, চারটি জবাই করা মৃত ছাগল ও ২৭টি রোগাক্রান্ত ছাগল জব্দ করা হয়। এর সঙ্গে জড়িত থাকায় নগরীর দরগাপাড়া এলাকার মো. মশিউর রহমান আপেল, মো. ফাইসাল, মো. কায়েস ও মো. ফয়সাল হোসেনকে আটক করা হয়।

আরেফিন জুয়েল আরও বলেন, আটকদের কাছে মাংস সরবরাহের বৈধ কাগজপত্র চাইলে তারা দিতে ব্যর্থ হন। এছাড়া জবাইকৃত পশু কীভাবে কিনে এনেছে জানতে চাইলে তারা কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবত চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ এলাকা থেকে মৃত ছাগলের মাংস ও মৃত ছাগল এবং রুগ্ন-অসুস্থ ছাগল স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে রাজশাহী মহানগরের বিভিন্ন খাবার হোটেল-রেস্তোরাঁ, ফাস্টফুড ও চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, বিরিয়ানি হাউজ ও বাজারে সরবরাহ করে আসছে।

আরেফিন জুয়েল বলেন, পরবর্তীতে ডিবি পুলিশ বস্তা ভর্তি মাংস ও জবাইকৃত মৃত ছাগলগুলো পরীক্ষার জন্য রাজশাহী সিভিল সার্জন কার্যালয়ের নিয়ে যায়। সেখানে জেলা সেনেটারি ইন্সপেক্টর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ছাগলগুলো মৃত অবস্থায় জবাই করা হয়েছে ও মাংসগুলোও মৃত ছাগলের মাংস এবং জীবিত ছাগলগুলো রুগ্ন-অসুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত নয় বলে জানান। পরে জবাইকৃত মৃত ছাগল ও মৃত ছাগলের মাংস রাসিক ভাগাড়ে নিয়ে মাটিতে পুতে ধ্বংস করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে অবহিত করা হয়। আটকরা সাহেব বাজারের মাংসপট্টি সমিতির সভাপতি-সেক্রেটারি, গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তা, সাধারণ জনগণ ও জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সামনে ভবিষ্যতে এমন অপরাধ করবে না মর্মে ক্ষমা চান। পরে জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর পাঁচজনকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরবর্তীতে তারা যেনো এমন অপরাধ না করেন সেই শর্তে ক্ষমা পান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জরিমানা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ