মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের সাথে ছয় বৈশ্বিক পরাশক্তির ২০১৫ সালে সম্পাদিত বহুল আলোচিত পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করতে দেশটির সঙ্গে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মধ্যস্থতায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৃহস্পতিবার এই আলোচনা শুরু হয়। আলোচনায় অন্যান্য বৈশ্বিক পরাশক্তির মতো চীনও অংশ নিয়েছে।
ইরান অবাস্তব দাবি করছে এমন অভিযোগ তুলে এক সপ্তাহ আগে পরমাণু চুক্তির আলোচনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে বৃহস্পতিবার ফের তা চালু হয়েছে। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি এবং চীনের প্রতিনিধিরা আছেন। মধ্যস্থতা করছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিক মোরা।
গত সপ্তাহে দীর্ঘ পরমাণু চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়ছে। কিন্তু সেই আলোচনা অমিমাংসিত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্য দেশগুলো অভিযোগ করে, বৈঠকে অবাস্তব দাবি করছে ইরান। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মোরা বলেন, পরমাণু চুক্তির প্রয়োজনীয়তা সকলেই অনুভব করছেন। সে কারণেই ফের আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছেন সকলে। সকলেই আশা করছেন সমাধানসূত্রে পৌঁছানো যাবে।
২০১৫ সালে ইরানকে নিয়ে অন্য পরাশক্তি দেশগুলো পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছিল, পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা যায়, এমন পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান জমা করতে পারবে না। জাতিসংঘ ইরানের পরমাণু পরীক্ষাগারে নজরদারি চালাতে পারবে।
কিন্তু ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে যায়। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, তার পক্ষে ওই চুক্তিতে থাকা অসম্ভব। ইরানের বিরুদ্ধে এরপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তিনি। ইরানও ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে সরব হয়।
ট্রাম্প চলে যাওয়ার পরে ইরান জানিয়ে দেয়, আগের চেয়ে বহু গুণ বেশি ইউরেনিয়াম সংগ্রহ করবে তারা। জাতিসংঘের কাছে তথ্য দিতেও তারা দায়বদ্ধ নয়। এরপরেই বাইডেন সরকার নতুন করে পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে উদ্যোগী হয়। গত সপ্তাহে সেই প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছিল। কিন্তু সে আলোচনাও মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়।
কূটনীতিকদের একাংশের বক্তব্য, ইরানের ওপর চাপ তৈরি করতেই গত সপ্তাহে পরমাণু আলোচনা বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নতুন করে চুক্তি যাতে হয়, সকলেই তা চাইছে। তবে ইরানের সরকারি প্রতিনিধিকে যে সহজে চুক্তিতে স্বাক্ষর করানো যাবে না, সে কথা এখন সকলের কাছেই স্পষ্ট। সূত্র : ডয়চে ভেলে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।