মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সোমবার ভারত সফরে তার সঙ্গে নয়া দিল্লতে ইন্ডিয়া-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এতেই তিনি জানান, রাশিয়ার ওই সরবরাহ এ মাসেই আসা শুরু হয়েছে এবং তা চলতে থাকবে। উল্লেখ্য, রাশিয়ার কাছ থেকে ভারত ৫০০ কোটি ডলারের এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার চুক্তি করে। এর মধ্যে আছে দূরপাল্লার এস-৪০০ ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।
যুক্তরাষ্ট্রের অবরোধের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ আসা শুরু হয়েছে ভারতে। এ বছরেই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ শুরু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে নয়া দিল্লি। এ খবর দিয়েছে তুরস্কের অনলাইন টিআরটি।
কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাউন্টারিং আমেরিকাস এডভারসারিজ থ্রু স্যাংশন্স অ্যাক্ট (সিএএটিএসএ)-এর অধীনে রাশিয়ার কাছ থেকে এই সরঞ্জাম কিনলে ভারতের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়ার কথা বলা হয়। তা সত্ত্বেও পুতিন-মোদি বৈঠকের পর হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, আমি মনে করি না যে, এ ইস্যুটি রাশিয়ান প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় এসেছে।
ভারতের কাছে দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ দেশ রাশিয়া। ভারত তার সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তারা উচ্চ পর্যায়ের যেসব চুক্তিতে আছে, তার মধ্যে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা অন্যতম। এই চুক্তি কমপক্ষে ৫০০ কোটি ডলারের। এই চুক্তি স্বাক্ষর হয় ২০১৮ সালে। কিন্তু তা নিয়ে নয়া দিল্লি এবং ওয়াশিংটনের সম্পর্কে দর কষাকষি চলতে থাকে। এই সম্পর্ক ক্ষুন্ন হওয়ার ঝুঁকি দেয়া দেয়।
সোমবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তারা একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। তারাই সিদ্ধান্ত নেবে কার কাছ থেকে অস্ত্র কিনবে এবং কেই বা ভারতের অংশীদার হবে। উল্লেখ্য, সিএএটিএসএ’র অধীনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম কেনা থেকে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অনেক দেশকে বিরত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
মার্চে ভারত সফরে এসেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। তিনি এ সময় পুনরুল্লেখ করেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের সব মিত্র এবং অংশীদারের উচিত রাশিয়ার হার্ডওয়্যার (বা অস্ত্র) এড়িয়ে চলা এবং এমন কিছু কেনা থেকে বিরত থাকা, যার ফলে অবরোধ আসতে পারে।
ওদিকে ভারত সফরে পুতিন এবং মোদি যেসব চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন তার মধ্যে রয়েছে একটি ১০ বছর মেয়াদী প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিষয়ক সহযোগিতামূলক চুক্তি এবং একটি এক বছর মেয়াদী তেলবিষয়ক চুক্তি। চুক্তির অধীনে কমপক্ষে ৬ লাখ কালাশনিকভ অ্যাসল্ট রাইফেল তৈরি করবে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।