মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের উচ্চ মূল্য নিয়ে বৈরিতার পর অবশেষে যুক্তরাষ্ট্র ও সউদী আরব একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের হুমকিতে চাহিদা হুমকির মুখে পড়লেও ওপেক প্লাস জোট উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সউদী আরব ও রাশিয়ার নেতৃত্বাধীন ওপেক প্লাস গোষ্ঠী জানুয়ারি থেকে প্রতিদিনি ৪ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত তেল উৎপাদনের ঘোষণা দিয়ে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারকে বিস্মিত করে। তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে ভাইরাসের কারণে তেলের দরপতন হলেও উৎপাদন বৃদ্ধির এ ঘোষণা দেয়া হলো। অবশ্য গোষ্ঠীটি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ উন্মুক্ত রেখেছে। তারা বলেছে, সদস্য দেশগুলোর মন্ত্রীরা আবার যে কোনো সময় বৈঠকে বসে পরিস্থিতি অনুসারে সিদ্ধান্তটি পুনর্বিবেচনা করবেন।
সউদী আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কয়েক সপ্তাহের ক‚টনৈতিক টানাপড়েনের পর এ সমঝোতা হলো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মূল্য কমাতে আরো বেশি উৎপাদনের আহŸান জানিয়েছেন এবং ওপেক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ আহŸানের বিরোধিতা করা হচ্ছিল। এই সপ্তাহে উপসাগরীয় দেশগুলো সফর করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তাদের আলোচনার ফলাফল তেলনীতি ছাড়িয়ে গেম-চেঞ্জার হিসেবে আবির্ভ‚ত হয়েছে বলে বৈঠক সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন। কোনো পক্ষই বৈঠকে ঐকমত্যের বিষয় সম্পর্কে খোলাখুলি কিছু বলেনি। মার্কিন প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ জ্বালানি ক‚টনীতিক আমস হখস্টেইন ও আন্তর্জাতিক অর্থনীতি বিষয়ক উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দালীপ সিং। গত সপ্তাহে আমস বলেছিলেন, উভয় দেশ জ্বালানি স্থানান্তরে অংশীদার এবং ২১ শতকের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি অবকাঠামোতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বøুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধি দল সউদী আরবের কোন পর্যায় পর্যন্ত বৈঠক করেছে তা স্পষ্ট নয়। বাইডেন ক্ষমতা গ্রহণের পর সউদী আরবের ডি ফ্যাক্টো শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট শুধু সউদী বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বলেছেন। তেলনীতি ছাড়াও ইরান এবং ইরানের পারমাণবিক উচ্চাভিলাষ নিয়ে উভয় দেশের স্বার্থের জায়গা ভিন্ন।
গত মাসে মার্কিন মজুদ থেকে লাখো মিলিয়ন ব্যারেল তেল ছাড়তে বাইডেনের নির্দেশের পর সউদী আরবের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তলানীতে পৌঁছায়। ওপেক প্রতিনিধিরা হুঁশিয়ারি জানিয়ে তখন বলেছিলেন, পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে তারা তেলের মূল্য বাড়াতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্র ওপেক প্লাসের তেলের উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। হোয়াইট হাউজের নারী মুখপাত্র জেন সাকি বৈঠকের পর বলেছেন, গত কয়েক সপ্তাহ আমাদের অংশীদার সউদী আরব, আরব আমিরাত ও ওপেক প্লাস উৎপাদনকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়কে আমরা স্বাগত জানাই, যা তেলের দামের চাপ মোকাবিলায় সহযোগিতা করেছে। সূত্র : বøুমবার্গ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।