বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাগধা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ভ্যানচালক মোকলেস মিয়া গতকাল সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানিয়েছে, গত ১৩ নভেম্বর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাজুরিয়া গ্রামে বিজয়ী আপেল মার্কার প্রার্থী শামীম মিয়া লিকচান এবং টিউবয়েল মার্কার পরাজিত প্রার্থী ইউনুস মিয়ার কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় আপেল মার্কার সমর্থক খাজুরিয়া গ্রামের মৃত সফিজউদ্দিন মিয়ার ছেলে ভ্যানচালক মোকলেস মিয়ার মাথায় আঘাত করে পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় মোকলেসকে আগৈলঝাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তানভীর ইসলাম রাসেল, এনামুল হাওলাদার ও রফিক ফকিরকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনার দুইদিন পর গতকাল সোমবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যানচালক মোকলেস মৃত্যুবরণ করেন। আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি পূর্বের মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করে অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু হয়েছে।
মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ১ জনের মৃত্যু
স্টাফ রির্পোটার মাদারীপুর থেকে : গত ১০ নভেম্বর দ্বিতীয় দফা মাদারীপুরের কালকিনির ইউপি নির্বাচনে চরদৌলত খা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. চান মিয়া শিকদার ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন মিয়ার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে বোমা বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনায় ঘটে। ঘটনায় মারাত্বক আহত হন আলমগীর হোসেন প্যাদা নামে এক ব্যক্তি। গতকাল সোমবার ভোরে মৃত্যু হয়। তিনি ঢাকার মোহাম্মদপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলো। মৃত্যুর বিষয়টি জানান নির্বাচনে অংশ নেয়া মৃতের চাচাতো ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান মিলন মিয়া।
মিলন মিয়া অভিযোগ করে জানান, আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী চান মিয়ার লোকজন আমার চাচাতো ভাই আলমগীর হোসেনকে বোমা মেরে গুরুতর জখম করে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে বোমা হামলার সাথে জড়িত নয় দাবি করে বিজয়ী চেয়ারম্যান মো. চাঁন মিয়া শিকদার জানান, ‘আমার কোনো লোকজন বোমার বিস্ফোরণের সাথে জড়িত না। কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল জানান, ১০ নভেম্বরের ঘটনায় সিডি খান থেকে ৮ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছিলাম। তখন কেউ মামলা দেয়নি। আমি শুনেছি, আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। যে কারণে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্যে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কেউ মামলা দিলে মামলা আমলে নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।