মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আমেরিকার তৈরি সাঁজোয়া যান এবং রাশিয়ান হেলিকপ্টার ব্যবহার করে তালেবান বাহিনী গত রোববার কাবুলে একটি সামরিক কুচকাওয়াজ করেছে। এর মধ্যদিয়ে বিদ্রোহী বাহিনী থেকে নিয়মিত স্থায়ী সেনাবাহিনীতে তালেবানের রূপান্তর সামনে এলো। তালেবানরা দুই দশক ধরে বিদ্রোহী যোদ্ধা হিসাবে কাজ করেছিল, কিন্তু তাদের বাহিনীকে পুনর্গঠন করার জন্য আগস্টে পশ্চিমা-সমর্থিত সাবেক সরকার পতনের সময় ফেলে যাওয়া অস্ত্র ও সরঞ্জামের বিশাল মজুত এখন ব্যবহার করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়াতুল্লাহ খোয়ারজমি জানান, কুচকাওয়াজটি মূলত সদ্য প্রশিক্ষিত ২৫০ জন সেনার গ্রাজুয়েশন অর্জনের সাথে সম্পর্কিত। সামরিক ওই মহড়ায় মার্কিন-তৈরি কয়েক ডজন এম ওয়ান ওয়ান সেভেন সাঁজোয়া যান, এম আই-১৭ হেলিকপ্টার টহল দিয়ে অংশ নেয়। পাশাপাশি, অনেক সেনার হাতে আমেরিকার তৈরি এম-৪ এসল্ট রাইফেল দেখা যায়।
এদিকে তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, প্রাক্তন আফগান ন্যাশনাল আর্মির পাইলট, মেকানিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের একটি নতুন বাহিনীতে একীভূত করা হবে। খবরে বলা হয়, নতুন ২৫০ জন প্রশিক্ষিত সেনার গ্র্যাজুয়েশন উপলক্ষে এ কুচকাওয়াজ হয় বলে জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র। তালেবান বাহিনী এখন যেসব অস্ত্র এবং হাতিয়ার ব্যবহার করছে; সেগুলো ওয়াশিংটন সরবরাহ করেছিল মার্কিন-সমর্থিত আফগান সরকারকে। তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আফগান ন্যাশনাল ফোর্সেস গড়ে তুলতে দেয়া হয়েছিল এসব অস্ত্র।
তালেবানের অগ্রযাত্রার মুখে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় আফগান বাহিনীও ভেঙে পড়ে। আর এসব সমরাস্ত্র চলে যায় তালেবানের হাতে। তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা নেওয়ার সময়ই কর্মকর্তারা বলেছিলেন, আফগান ন্যাশনাল আর্মি থেকেও বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, মেকানিক এবং পাইলটদের নতুন তালেবান বাহিনীতে নেয়া হবে। সেই প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে।
এক হিসাবে দেখা যায়, ২০০২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের সামরিক বাহিনীকে ২৮০০ কোটি টাকার সমরাস্ত্র দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বন্দুক, রকেট, নাইট-ভিশন গগলস, গোয়েন্দা নজরদারি চালানোর জন্য ড্রোন। তবে উপহারের তালিকায় সবকিছুর ওপরে ছিল ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টার। তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আফগান সেনাদের এটা বেশ এগিয়ে রাখত। ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আফগান বাহিনীকে ২০৮টি বিমান দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র- এই তথ্য জানিয়েছে ইউএস গভর্নমেন্ট অ্যাকাউন্টিবিলিটি অফিস। কিছু বিমান নিয়ে আফগান বৈমানিকরা পালিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য বিমান তালেবান পেয়ে গেছে। যদিও সেগুলোর মধ্যে কয়টি সচল আছে তা জানা যায়নি। তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ৭০টির বেশি বিমান, কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করে দিয়ে গেছে। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।