মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি বলেছেন, বিশ্বকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করার ব্যাপারে তার দেশ যে প্রস্তাব দিয়েছে তা জাতিসংঘ এবং এর সদস্য দেশগুলোর জন্য বিশেষ করে যারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে তাদের জন্য বড় পরীক্ষা।
তিনি বলেন, স্নায়ুযুদ্ধের অবসানের পর যদিও সারা বিশ্ব থেকে নাটকীয়ভাবে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা কমেছে এবং তা ১৫ হাজারে এসে দাঁড়িয়েছে তারপরেও বিশ্ব মোটেই নিরাপদ নয়। বাস্তবতা হচ্ছে- নতুন পরমাণু অস্ত্রগুলোর ধ্বংসক্ষমতা পুরনো পরমাণু অস্ত্রের চেয়ে হাজার গুণ বেশি। ফলে পরমাণু অস্ত্রের বিপদ থেকেই গেছে এবং বিশ্ব ও মানবতা মারাত্মকভাবে ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
ইরানের প্রেস টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে মাজিদ তাখতে রাভাঞ্চি এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটিতে সই করা সমস্ত দেশ এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, তাদের ভাণ্ডারে থাকা সমস্ত পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করবে। শুধু তাই নয়, ওই চুক্তি অনুসারে তারা নতুন কোনো পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে পারবে না এবং অন্য কোনো দেশের কাছে পরমাণু অস্ত্র হস্তান্তর করা যাবে না। পাশাপাশি পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো তাদের নিজেদের সীমানার বাইরে পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে পারবে না এবং অন্য কোন দেশকে পরমাণু অস্ত্র তৈরিতে সহযোগিতা করবে না।
কিন্তু সমস্ত পরিসংখ্যান এবং বাস্তবতা এই কথা বলছে যে, এ ব্যাপারে পরমাণু শক্তিধর দেশগুলোর রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাব রয়েছে এবং তারা পরমাণু অস্ত্র আধুনিকায়ন ও তার গুণগতমান বাড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে যাতে তাদের ভাণ্ডারে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ধ্বংস ক্ষমতা আরো বাড়ে।
শুধু তাই নয়, পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো এ খাতে বাজেট বরাদ্দ দিচ্ছে যা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি এবং প্রতিশ্রুতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কোনো অগ্রগতি অর্জিত হয় নি।
রাভাঞ্চি বলেন, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ২০০৫ সালে একটি প্রস্তাব দিয়েছে যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তার বাস্তবায়ন ঘটানো। এ প্রস্তাব এখন জাতিসংঘ ও তার সদস্য দেশগুলোর জন্য বিরাট পরীক্ষা হয়ে দেখা দিয়েছে।
সূত্র: পার্সটুডে
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।