বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে কি না তা নিয়ে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ভোটারদের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে ।
যমুনার ভাঙনের কারণে ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা বাড়ীঘর ভেঙে নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় ভোট গ্রহন নিয়ে এ সন্দেহ দেখা দিয়েছে । বন্যা ও নদী ভাঙ্গনের কারণে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১,২,৩,৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ফাজিলপুর,বহুলাডাঙ্গা, আউচার পাড়া, চর চালুয়াবাড়ী, ভাঙ্গরগাছা, ও চরদলিকা গ্রাম সম্পূর্ণ নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ওই এলাকার লোকজন বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।চালুয়াবাড়ি ইউনিয়নের অনেক ভোটার এখন বগুড়া জেলার পার্শ্ববর্তী জেলা গাইবান্ধার সাঘাটা, জামালপুরের মাদারগঞ্জ,মেলানদহ ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করছে । ওই ভোটাররা অন্য এলাকায় বসবাস করলেও তারা এখনো চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার রয়ে গেছেন। চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নে সাড়ে ১০ হাজার ভোটারের মধ্যে বেশির ভাগ ভোটার এ ইউনিয়নে বসবাস করেন না । বিভিন্ন জেলায় বসবাসরত ভোটাররা ভোটের সময় ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হতে পারেনা । সে কারণে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট অনুষ্ঠান করা দুরহ হয়ে পড়বে বলে অনেকেই মনে করেন । বিভিন্ন এলাকায় ভোটাররা বসবাস করায় প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে পৌছানো সম্ভব হবেনা । প্রার্থী ও ভোটারদের ভোগান্তি যাতে না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট ৯টি ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের সীমানা পূর্নবিন্যাসের আবেদন জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসীরা ।
চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটার মজিবর মন্ডলের পুত্র মো. ছামচুল হক, মইমু্িদ্দন বেপারির স্ত্রী বাছিরন বেগম, মৃত রজব আলীর পুত্র নবীর উদ্দিন নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে বর্তমানে তারা গাইবান্ধা জেলার সাঘাটার কাটুরি গ্রামে বসবাস করছেন । তারা জানান, নদী ভাঙনে সবকিছু হারিয়ে তারা এখন সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন। নাগরিকত্ব , জন্মনিবন্ধন, প্রত্যয়নপত্রসহ নানা কাজে এখনো চালুয়াবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয় । দূরে থাকার কারণে কখন ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয় তাও জানতে পারিনা । এব্যাপারে চালুয়াবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল হাই বলেন, গত নির্বাচনে আমার ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র ছিল চালুয়াবাড়ি চরদলিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। নদী ভাঙনের কারণে ওই কেন্দ্রটি পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার ইসলামপুরের মধ্যে কেন্দ্রটি স্থানান্তর করা হয়েছে। আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা এখন বসবাস করছেন ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী,কাউনিয়া,কুড়িগ্রাম জেলায়। ২ নং ওয়ার্ডের সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, নদী ভাঙনের কারণে আমার ওয়ার্ডের ৭০০ ভোটাররে মধ্যে ৫০০ ভোটার এলাকায় থাকেন না । আমার ওয়ার্ডের ভোটাররা হাটবাড়ী,
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।