পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘জামায়াতে ইসলামী’র প্রকাশ্য আদালতে বিচার শিগগিরই শুরুর দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। গতকাল সোমবার সংস্থার ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা এম. সানাউল হক। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) শাহজাহান কবীরসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এম. সানাউল হক বলেন, সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করবো, আমরা যে পরিশ্রম করে রিপোর্টটি দিয়েছি, সেটি যথাযথ নিরীক্ষা করে যেন অবিলম্বে বিচার শুরুর পদক্ষেপ নেয়া হয়। সানাউল হক আরও বলেন, প্রসিকিউশনকে বারবার তাগিদ দিয়েও তদন্ত প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করা যায়নি। দল হিসেবে তাদের শাস্তি কী হবে ? এটির বিধান স্পষ্টভাবে না থাকাতে প্রসিকিউশন রিপোর্টটি চার্জ গঠনের জন্য ট্রাইব্যুনালে উত্থাপন করেননি-এমনটাই আমাদের জানানো হয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি, জামায়াতে ইসলামীর বিচারটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বা আমাদের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুরু করা উচিত। সংগঠনের যখন বিচার হয়, তখন সংগঠনের সেই সময়ের অঙ্গ সংগঠন বা যে সব ব্যক্তিবর্গ জড়িত ছিলেন, তাদের সবারই বিচার হয়। তাদের সবার ওপরই এই অপরাধের দায় চলে আসে।
সংস্থার প্রধান এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও সা¤প্রদায়িক হামলা সমূলে উৎপাটন করতে জামায়াতের বিরুদ্ধে দ্রæত বিচার শুরু হওয়া উচিৎ। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ জামায়াতের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হলেও বিচার শুরু না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।
এর আগে একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলায় সাতক্ষীরার ৪ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা এম. সানাউল হক। তিনি বলেন. একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার চার জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করেছে তদন্ত সংস্থা। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠণসহ বেশকিছু অপরাধের সম্পৃক্ততা মিলেছে।
তদন্ত সংস্থার ৭৯তম প্রতিবেদনে বলা হয়, মামলার ৪ আসামির মধ্যে মো. আলী আকবর নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও ৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে ১১১ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদন এবং চারটি ভলিউমে ১৭৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে। চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর থেকে তদন্ত শুরু হয় । গত ২৪ অক্টোবর শেষ হয়। তাদের বিরুদ্ধে আটক, নির্যাতন, অপহরণ, গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগের ২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।