পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এ যেন রাজনৈতিক দল ছিনতাই! এতোদিন রাজনৈতিক দলে নেতাদে মতভেদের কারণে ভাঙ্গাগড়া ও দ্বিখন্ডিত হওয়ার খবর শুনলেও ছিনতাইয়ের খবর শোনেনি মানুষ। এবার যেন সেটাই শুনতে যাচ্ছে! দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে দলের আদর্শ প্রতিষ্ঠা? অপ্রিয় হলেও সত্য এমন ঘটনাই ঘটতে যাচ্ছে। দলের প্রতিষ্ঠাতা ড. কামাল হোসেনকে বাদ দিয়ে গণফোরাম এগিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন দলটির একাংশের বর্ধিত সভায় উপস্থিত নেতারা। তাদের দাবি, ড. কামাল হোসেনকে রাখলে গণফোরাম কখনোই তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে না। উনি বঙ্গবন্ধুর সহচর ছিলেন ঠিকই, আসলে উনি এখন জিরো।’ গতকাল শনিবার গণফোরামের এই বর্ধিত সভা জাতীয় প্রেস ক্লাবের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাঈদ।
বর্ধিত সভায় জানানো হয়, আগামী ২৮ ও ২৯ মে দলটির জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটি ও ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল করতে মোস্তফা মহাসিন মন্টুকে আহ্বায়ক এবং অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ২০১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন এবং অধ্যাপক ড. আবু সাঈদকে আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামানকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়। এ ছাড়া আগামী জাতীয় কাউন্সল পর্যন্ত গণফেরামের কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য মোস্তফা মহসিন মন্টুকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে ড. কামাল হোসেনকে রাখা হয়নি। তবে মোকাব্বির খান এমপিকে রাখা হয়েছে।
বর্ধিত সভা শেষে প্রেস ব্রিফিং করেন অধ্যাপক আবু সাঈদ। তিনি বলেন, দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সর্বক্ষেত্রে, স্বৈরতান্ত্রিক কালো থাবায় সবকিছু থমকে গেছে। সর্বস্তরে চলছে দুঃশাসন। সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও চেতনা বাস্তবায়নে সরকার অনেক দূর সরে গেছে। এ সরকার জনগেরণর সরকার নয়। এ সরকার অবৈধ সরকার। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।
ড. কামালকে গণফোরাম থেকে বাদ দেওয়ার প্রস্তাবের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, এটি বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত না, বিভিন্ন নেতারা প্রস্তাব দিয়েছেন। আগামী কাউন্সিলে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমরা সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। পাশাপাশি নতুন নির্বাচন চাই। আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করেছে। নতুন নির্বাচন না দিলে স্বৈরাচার এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।