Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করার দাবি বিশেষজ্ঞদের

প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তারা সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত একটি আইন করার দাবি জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নাগরিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
সুজন সম্পাদক বলেন, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য তথা জেনুইন ইলেকশন পরিচালনার জন্য একটি সঠিক প্রতিষ্ঠান আবশ্যক। এ লক্ষ্যে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নির্বাচন কমিশনে কমিশনার নিয়োগ দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। কমিশনে নিয়োগ দেয়ার জন্য একটি আইন প্রণয়নের বাধ্যবাধকতা থাকলেও গত ৪৪ বছরেও তা মানা হয়নি। তাই সাংবিধানিক নির্দেশনা অনুযায়ী আইন প্রণয়ন না করে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রদান করা হলে, সেই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ব্যাপক বিরোধ বিরাজমান। অতীতের প্রায় সব নিয়োগ নিয়েই, বিশেষত দলীয় সরকারের অধীনে নিয়োগ নিয়ে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ উঠেছে। তাই রাজনৈতিক বিত-া এড়ানোর লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করা দরকার।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থার অভাব রয়েছে। যে কারণে যারা হেরে যান তারা কারচুপির অভিযোগ আনেন। তাই নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থার অভাব নিরসন করতে হবে এবং নির্বাচনী ফলাফল মেনে নেয়ার সংস্কৃতি তৈরি করতে হবে।
অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন অপরিহার্য। তবে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে কিভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে কথা বলা দরকার। মূলত প্রধানমন্ত্রী চাইলেই দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ কিভাবে নিশ্চিত হতে পারে এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট সব দলের অংশগ্রহণে আলোচনার সূত্রপাত করতে পারেন। নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক হলে নির্বাচনী ম্যাকানিজম নিয়ে পরে আলোচনা করা যেতে পারে।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) এম শাখাওয়াত হোসেন বলেন,  কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্বাচন কমিশন হলো নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মূল কেন্দ্র। তাছাড়া কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে সাধারণত কর্তৃত্ববাদী সরকার গঠিত হয়।
সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থাহীনতা রয়েছে। জনগণের মধ্যে আশঙ্কা রয়েছে সরকার  যোগ্য ব্যক্তিদের কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেবে কি না। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট, বিচারপতি ও রাজনৈতিক দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দানে পরামর্শ দিতে পারেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলকে সম্পৃক্ত করার দাবি বিশেষজ্ঞদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ