এডিট করা যাবে পাঠানো মেসেজ! অতি প্রয়োজনীয় ফিচার আনছে হোয়াটসঅ্যাপ
অ্যাপেল কিংবা টেলিগ্রামের মতো অ্যাপগুলিতে মেসেজ পাঠিয়ে দেয়ার পরও তাতে কোনও ভুল থাকলে এডিট করা
সমৃদ্ধ এবং উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গঠনে জলবায়ু বান্ধব উদ্ভাবনী, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষি পদ্ধতি গ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে উল্লেখ করেচেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিচালক ফিল্ড সার্ভিসেস উইং একেএম মনিরুল আলম।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অর্থায়নে এবং ইকো কোঅপারেশন- (পার্ট অব কর্ডেড) এর সহযোগিতায় আয়োজিত জলবায়ুু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজিত কৃষির উপর ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে তিনি এই কথা বলেন।
অন্যদের মধ্যে, সিনজেন্টা ফাউন্ডেশনের গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স সলিউশনের প্রধান ওলগা স্পেকহার্ড; এআর মল্লিক সীডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সোপন মালিক, ইনক্লুসিভ বিজনেস সুইডেনের ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর আনা পেরেজ আপনেও প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। জনাব কোয়েন এভারএয়ার্ট, টিম লিডার - খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা এবং টেকসই উন্নয়ন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার বিশেষ বক্তব্যে বলেন, ইইউর ভবিষ্যত প্রোগ্রামিংয়ে সামাজিক সুরক্ষার দিকে মনোনিবেশ করবে যেখানে সামগ্রিক পুষ্টি উন্নয়ন মূল ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। জলবায়ু সহিঞ্চু কৃষি প্রযুক্তি, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচীতে কৃষকদের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে একদিকে যেমন তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি হতে পারে অন্যদিকে টেকসই জীবিকার সুযোগের দিকে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে পারে।
জলবায়ুু পরিবর্তন মোকাবেলায় অভিযোজিত কৃষির উপর ভার্চুয়াল ওয়েবিনারনের উদ্দেশ্য ছিল অভিযোজিত কৃষি চর্চা সম্পর্কে জ্ঞান সম্প্রসারন করা, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব সহজতর করা এবং এর সম্প্রসারণে সরকারি উদ্যোগকে প্রভাবিত করা।
ওয়েবিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন, জলবায়ু স্থিতিস্থাপক কৃষি, পরিবেশবান্ধব লবণ সহনশীল/ বন্যা-সহনশীল ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নতুন ধারণা, কৃষকদের মধ্যে সহজলভ্য এবং নির্ভরযোগ্য জলবায়ু তথ্য, জলবায়ু বীমা, এবং বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ অভিযোজিত কৃষির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন এই ওয়েবিনারে মাধ্যমে বক্তারা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য কৃষি-উদ্ভাবনের জন্য একটি সক্রিয় পরিবেশ নিশ্চিত করতে বহু-অংশীদারদের সহযোগিতা বিবেচনা করার আহ্বান জানান।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে সাসটেইনড অপুুর্চুনিটি ফর নিউট্রিশন গর্ভনেন্স (সংগ) প্রকল্পটি মাতৃ ও শিশুর পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করছে। পাঁচ বছর ব্যাপী ব্যাপি প্রকল্পটি ইকো কোঅপারেশন- (পার্ট অব কর্ডেড) এবং আরডিআরএস বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার ৬টি উপজেলার ১৮ টি ইউনিয়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি উপজেলা পর্যায়ে স্থানীয় পুষ্টি সুশাসন ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণে কাজ করবে।
এই ওয়েবিনারের মাধ্যমে, সঙ্গ পাবলিক সেক্টর, প্রাইভেট কোম্পানি এবং ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের মধ্যে প্ল্যাটফর্ম তৈরির লক্ষ্যে জলবায়ু সহায়ক স্মার্ট কৃষিতে সঙ্গ উদ্ভাবনকে বিকশিত করবে। বিভিন্ন অংশীদারদের উদ্ভাবনী, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক কৃষি উদ্যোগকে একত্রীকরণ, সরকারী বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝা এবং বাণিজ্যিক মডেলের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে এই ওয়েবিনারে আলোচনা করা হয়েছে। আগামী দিনে সরকারী-বেসরকারী সকলের সহযোগিতায় সঙ্গ প্রকল্পের উদ্ভাবনী উদ্যোগ ভবিষ্যতে জলবায়ুু পরিবর্তন মোকাবেলায় কৃষিকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।