Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হারিয়ে যাচ্ছে ডলফিন

আসলাম পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

এশিয়ার বিখ্যাত বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর উপর নির্যাতন বন্ধ হচ্ছে না। অসাধু ব্যক্তিদের কারণে মন্ত্রণালয় থেকে হালদা নদী রক্ষার জন্য নৌ পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়েছে। এরপরও অসাধু ব্যক্তিরা হালদায় জাল ফেলে মাছ নিধন করছে। পাশাপাশি হালদার জীববৈচিত্র্য ডলফিন ও (শুষক) মারা যাচ্ছে একের পর এক।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও হালদার নৌ পুলিশ এবং হালদার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের গ্রামপুলিশ প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে জাল। এরপরও থামছে না অসাধু ব্যক্তিদের কর্মকান্ড। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে শত শত মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করেন। হালদার তীরবর্তী গুপ্তচরেরা কোন এক সময় এসে নদীতে জাল ফেলে এমনকি বড়শি ফেলে চলে যায় পরবর্তীতে তারা এসে জালগুলো তুলে নেয়। পাশাপাশি হালদা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু তুলে বিক্রি করার ফলে নদীর নব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নদীতে ইঞ্জিনচালিত নৌকা চলাচলের কারণে ডলফিনের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। বেসরকারি এক পরিসংখ্যানে জানা যায় এই নিয়ে হালদা হতে ৩১ টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে স্থানীয়রাসহ উপজেলা প্রশাসন নৌ-পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ। ৩১টি মৃত ডলফিন উদ্ধার করে তার মধ্যে কয়েকটি মৃত ডলফিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেগুলো কেন এবং কিভাবে মারা গেছে তা খতিয়ে দেখার জন্য। এই নদীকে রক্ষা করতে সরকার হালদা নদীর বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করলেও তারপরও রক্ষা পাচ্ছে না এই হালদা। দেশের অর্থনৈতিক মৎস্য ভান্ডার হিসাবে পরিচিত বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ হালদা নদীর উপর অতি দ্রুত সরকারিভাবে নজর না দিলে ধীরে ধীরে হালদা নদী হতে মা মাছ ও হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষার প্রাণী ডলফিন দিন দিন হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন হালদা বিশেষজ্ঞরা ।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহিদুল আলম বলেন, আগের চেয়ে হালদার উপর নির্যাতন একটু কমেছে হালদা নদীর সাথে লাগোয়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বার ও এমনকি গ্রাম পুলিশদেরকেও বলে রেখেছি তারা যেন হালদা নদীর দিকে খেয়াল রাখেন। তাছাড়া আমি তো যখনই খবর পাই তখনি ছুটে যাই হালদার পাড়ে যেখানেই জাল বসানো হয় সেখানেই অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকরী জাল। নদীতে জাল বসানো নিয়ে এলাকার মানুষ সচেতন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডলফিন

২৪ জানুয়ারি, ২০২২
১৯ অক্টোবর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ