মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের মতো প্রধান অর্থনীতিতে জ্বালানি ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধিতে তেল তিন বছরের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে গতকাল ব্যারেল প্রতি ৮৪ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে অর্থনীতিগুলো মহামারীর নিম্নমুখিতা থেকে উঠে আসায় পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন এবং সহযোগী উৎপাদক যা সম্মিলিতভাবে ওপেক+ নামে পরিচিত, দ্রæত সরবরাহ বাড়ানোর পরিবর্তে ধীরে ধীরে আউটপুট পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনায় অটল রয়েছে।
তেল ব্রোকার পিভিএমের স্টিফেন ব্রেনক বলেন, ‘ওপেক+ বছরের শেষ সময়ে সরবরাহের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যাবে। এ পটভ‚মির বিপরীতে, তেল উৎপাদক দেশগুলো হাইবারনেশন মোডে থাকবে’।
ব্রেন্ট ক্রুড গ্রিনিচ মান সময় ১২:১৫-এ ০.০২ ডলার বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৮৩.৬৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সোমবার এটি ৮৪.৬০-এ পৌঁছে যায় যা ২০১৮ সালের অক্টোবরের পর সর্বোচ্চ।
মার্কিন তেল ০.২৯ ডলার বা ০.৪% বেড়ে ৮০.৮১ ডলারে পৌঁছেছে যা ২০১৪ সালের শেষের দিকে সর্বোচ্চ সোমবার ৮২.১৮ ডলারে পৌঁছেছে।
ব্রোকারেজ ওয়ান্ডার বিশ্লেষক জিওফ্রে হ্যালি বলেন, মঙ্গলবারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে যে, বাজারে রিলেটিভ স্ট্রেংথ ইনডেক্সের মতো স্বল্পমেয়াদী প্রযুক্তিগত সূচকে আরো বেশি উজ্জ্বল দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমি যদি এ সপ্তাহে কোন এক সময়ে অতিরিক্ত ৫ থেকে ৮ ডলার ব্যারেলের বিক্রয় দেখতে পাই তবে আমি অবাক হব না’।
এ বছর ব্রেন্টের দাম ৬০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। ওপেক+ সরবরাহ সংযমের পাশাপাশি, সমাবেশটি রেকর্ড ইউরোপীয় গ্যাসের দাম দ্বারা উদ্দীপিত হয়েছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য তেলের সুইচকে উৎসাহিত করেছে।
আইকেনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে রয়টার্সের হিসাব অনুসারে, প্রতিটি উৎস থেকে একই পরিমাণ শক্তির আপেক্ষিক মূল্যের উপর ভিত্তি করে, ডাচ টিটিএফ হাবের ইউরোপীয় গ্যাস মঙ্গলবার প্রায় ১৬৯ ডলার ব্যারেল সমান অপরিশোধিত তেলের উপর দাঁড়িয়েছিল।
এশিয়া, ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক জ্বালানি সঙ্কট সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বিদ্যুতের দাম রেকর্ড উচ্চতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। চীনকে প্রভাবিত করা জ্বালানি সঙ্কট বছরের শেষের দিকে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওপেক+ ভোক্তা দেশগুলো চাপের মুখে পড়েছে। একজন মার্কিন কর্মকর্তা সোমবার বলেছেন যে, হোয়াইট হাউস তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোকে ‘আরো কিছু করার’ আহŸান জানাচ্ছে। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।