মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ হিসেবে যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশগুলোর সরকারকে হাজার কোটি ডলার হস্তান্তর করার জন্য জোর দিচ্ছে তালেবান। এই দাবি যুক্তিসঙ্গত বলে মনে করে তালেবানরা এবং তারা আত্মবিশ্বাসী যে যুক্তরাজ্য তা মেনে নেবে।
তালেবানের ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের নূর মোহাম্মদ মুতাওয়াকেল বলেন, ‘ব্রিটেন আমাদের যুদ্ধের ক্ষতিপূরণ দিতে প্রস্তুত এবং আমরা এটাকে স্বাগত জানাই। যুদ্ধে জড়িত অন্যান্য দেশকেও অর্থ প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’ ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র বলেছে, ‘আমরা জানি না তারা কী চাইবে। কিন্তু এটি জড়িত প্রত্যেকের জন্য কোটি কোটি ডলার হতে পারে। আমরা তা পরিশোধ করি বা না করি তা আলাদা বিষয়।’ বর্তমানে আফগানিস্তানের অর্থনীতি একেবারে তলানীতে। দেশটির জিডিপি এই বছর ১০ শতাংশ এবং ২০২২-২৩ সালে ৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হতে চলেছে। অনেক বিদেশী শক্তি তাদের দেশে থাকা আফগান সম্পদ বাজেয়াপ্ত করছে - শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ৭০০ কোটি পাউন্ড আটকে রয়েছে।
আফগানিস্তানে ব্রিটিশ সৈন্যদের সাবেক কমান্ডার কর্নেল রিচার্ড কেম্প বলেছেন, ‘বৈধ সরকারকে সমর্থন করার জন্য আফগানিস্তানে যুদ্ধ করা দেশগুলোর কাছ থেকে যে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে তালেবান, তা তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।’ তিনি বলেন, ‘তালেবানদেরকে ব্রিটিশ সরকারের একটি পয়সা দেয়ার কথাও চিন্তা করা উচিত নয়। দেশকে ধ্বংসের দিকে চালিত করতে সক্ষম শাসনের কাছ থেকে এটি অনেক দাবির মধ্যে প্রথম হবে।’
আফগানিস্তানে আরও বিশৃঙ্খলা এবং রক্তপাতের মধ্যে এই খবরটি এসেছে। গত শুক্রবার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুন্দুজে আইএসের আত্মঘাতী বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়। এটাও প্রকাশ করা হয়েছিল যে, কূটনীতিকরা তালেবানদের সাথে বৈঠক করেছেন যাতে যুক্তরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা নিরাপদে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। কেউ কেউ আশঙ্কা করে যে, তালেবানরা ক্ষতিপূরণের জন্য আলোচনায় তাদের ব্যবহার করতে পারে।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা কর্নেল ফিলিপ ইনগ্রাম বলেন, ‘যুক্তরাজ্য খুবই কঠিন অবস্থানে রয়েছে। আমি মনে করি না যে, তাদের অর্থ প্রদান করা উচিত কিন্তু এটি গুরুত্বপূর্ণ যে কোন দেশ অর্থ প্রদান করে না কারণ ঐক্যের অভাবকে কাজে লাগানো হবে। তালেবানরা খুব বিচক্ষণ।’ তিনি বলেন, ‘প্রত্যাহারের মধ্যে তারা বিবৃতি দিতে থাকে। তারা জানত পশ্চিমা সরকার শুনতে চায়। এখন সাহায্য কাটা হয়েছে এবং তাদের নগদ অর্থের প্রয়োজন, তারা তাদের মেসেজিংয়ের মাধ্যমেও একই কাজ করছে এবং সম্ভবত এটি মানুষকে চলে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার সাথে যুক্ত করবে।’
ব্রিটশি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ক্ষতিপূরণ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় কিন্তু নিশ্চিত করেছে যে বেসামরিক হতাহতের জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। একজন মুখপাত্র বলেছেন, ‘প্রতিটি বেসামরিক মৃত্যু একটি ট্র্যাজেডি। যুক্তরাজ্য কঠোর টার্গেটিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঝুঁকি কমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু সেই ঝুঁকি কখনই পুরোপুরি দূর করা যায় না।’ মন্ত্রণালয়ের তথ্য দেখায় যে, ২০০৬-১৩ সালের মধ্যে ২৮৯জনের মৃত্যুর জন্য ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছিল। সেখানে একটি পরিবার পেয়েছে মাত্র ১০৪ দশমিক ১৭ পাউন্ড বা প্রায় ১২ হাজার ১২৮ টাকা। সামগ্রিকভাবে, ৬ লাখ ৮৮ হাজার পাউন্ড বা প্রায় ৮ কোটি ৯৭ হাজার টাকা। একটি পরিবার ১০ বছরের ছেলের মৃত্যুর জন্য ৫৮৬ দশমিক ৪২ পাউন্ড বা প্রায় ৬৮ হাজার টাকা পেয়েছে। অপর একটি পরিবার তাদের গাধার পালের মৃত্যুর জন্য ৬৬২ পাউন্ড বা প্রায় ৭৭ হাজার টাকা পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।