নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার যেন উঠা-নামার এক গল্প। এক সিরিজে আলো ছড়ান তো পরের সিরিজে হয়ে পড়েন ম্রিয়িমাণ। টি-টোয়েন্টিতে চলতি বছর দেশের বাইরে বাংলাদেশের হয়ে সেরা পারফর্মার ছিলেন তিনিই। তবে ঘরের মাঠে শেষ দুই সিরিজে করেছেন চরম হতাশ। এই ওপেনারের আশা ঘরের মাঠের মতো কঠিন উইকেট থাকবে না বিশ্বকাপে, স্পোর্টিং উইকেটের জন্যই তাই চলছে তার প্রস্তুতি।
চলতি বছর নিউজিল্যান্ড সফরে করেছিলেন ঝড়ো ফিফটি। ঠিক পরে জিম্বাবুয়ে সফরে তিন ম্যাচে ৫০ ও ৬৮ রানের দুই ইনিংসে হন সিরিজ সেরা। কিন্তু এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ২৮ রান। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচে সুযোগ পেয়ে করেন ৯ বলে ৪। পারফরম্যান্সে এই ভাটার টানের পেছনে উইকেট একটা বড় কারণ। মিরপুরে খেলা হয়েছে অতি মন্থর, টার্নিং ও উঁচু-নিচু বাউন্সের উইকেটে। সৌম্য যে ধরণের ব্যাটসম্যান তাতে কোনভাবেই তারজন্য পরিস্থিতি ছিল না আদর্শ। কঠিন পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ নিয়ে ভিন্ন কিছু করে দেখাতে পারেননি তিনি।
এই ব্যর্থতার পরও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে তিনি গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য। সবাই জানে স্পোর্টিং উইকেটে সৌম্য জ্বলে উঠলে যেকোনো প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই দলের কাজটা হয়ে যাবে সহজ। গণমাধ্যমের সামনে হাজির হয়ে জানালেন, এসব মাথায় রেখেই চলছে তার প্রস্তুতি, ‘স্কিল নিয়ে কিছু কাজ করা তো হয়েছেই। ব্যালেন্স করা, উইকেটে মানিয়ে নেওয়া নিয়ে কাজ করেছি। আমরা গত যে দুই সিরিজে খেলেছি সেখানে উইকেট অনেক কঠিন ছিল। স্পোর্টিং উইকেটে খেলার জন্য আবার নিজেকে প্রস্তুত করতে হচ্ছে। গত অনুশীলন সেশনগুলোতে উইকেট ভালো ছিল। বড় শট খেলতে গেলে ভারসাম্য জরুরি। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করেছি।’
নিউজিল্যান্ড সিরিজের পর ক্রিকেটারদের তিন সপ্তাহের ছুটি দেওয়া হয়েছিল। সৌম্য ছুটিটা উপভোগ না করে নিজ উদ্যোগে অনুশীলন চালিয়েছেন। গত কয়েকদিন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বড় শট খেলার অনুশীলন করতে দেখা গেছে তাকে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের আশা ওমানে গিয়ে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তারা, ‘এ ক’দিন অনুশীলন করছিলাম। আশাকরি প্রস্তুতি ভালো হয়েছে। আমরা তাড়াতাড়ি যাচ্ছি। ওখানে প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। ওখানে প্রস্তুত হওয়ার আরও সুযোগ পাব। ভালো কিছুর আশা নিয়েই যাচ্ছি। আশা করি, সবাই ওখানে মানিয়ে নিতে পারবে। আমরা জয়ের ধারায় আছি। একটা আত্মবিশ্বাস আছে।’
গতকাল থেকেই বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা প্রবেশ করবেন জৈব সুরক্ষা বলয়ে। আজ রাতে ওমানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে বাংলাদেশ দল। সেখানে সপ্তাহখানেক অনুশীলনের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতে গিয়ে শ্রীলঙ্কা ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১২ ও ১৪ অক্টোবর দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আবার ফিরে যাবে ওমান। ১৭ অক্টোবর সেখানেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।