মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে কোনোভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের মালিক হতে দেবো না । তিনি বলেন, ইরান পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে রেডলাইন অতিক্রম করেছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্য সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি মাজিদ তাখত রাভানচি। -রয়টার্স
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে কথা বলার অধিকার শতশত পরমাণু অস্ত্রের মালিক দখলদার ইসরায়েলের নেই। নাফতালি ইরান নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক ইহুদিবাদী চক্র বারবার বলে আসছে, ‘আমরা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে দেবে না।’ কিন্তু তাদের জেনে রাখা উচিত, ইরান যদি পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে ইহুদিবাদীরা তো দূরের কথা, তাদের চেয়ে বড় শক্তিগুলোর পক্ষেও তা প্রতিহত করা সম্ভব হতো না।’ তিনি এও বলেন, ‘পারমাণবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রসহ যেসব অস্ত্র দিয়ে সাধারণ মানুষকে গণহারে হত্যা করা যায়, সেসব অস্ত্র তৈরিতে ইসলামের বিধিনিষেধ রয়েছে এবং আমরা সে বিধিনিষেধ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
তিনি ঘোষণা দেন, ‘তার দেশ পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে নিজের যৌক্তিক অবস্থান থেকে সরে আসবে না এবং প্রয়োজন হলে শতকরা ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানের দুটি শহরে আমেরিকার পরমাণু বোমা হামলায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ হত্যার কথা স্মরণ করে ইরানের এই সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষের ওপর গণহত্যা চালানো পশ্চিমাদের পাশবিক মানসিকতা থেকে উৎসারিত। কিন্তু ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ মানসিকতায় বিশ্বাস করে না।'
ক্ষমতা গ্রহণের পর গত সোমবার প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে তেল আবিবের পুরনো অভিযোগগুলো সামনে আনেন তিনি। তিনি বলেন, গেল কয়েক বছরে পরমাণু শিল্পের গবেষণা ও বিকাশে ইরান অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। ইরানের এই পারমাণবিক কার্যক্রম ঠেকাতে আন্তর্জাতিক তৎপরতা আরও জোরদারের দাবি জানান তিনি।একই সঙ্গে তেহরানকে মোকাবিলায় প্রয়োজনে তেলআবিব নিজেই কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।