মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দাড়ি কামানো অথবা ছোট করে রাখা ইসলামি আইন লঙ্ঘন করে বলে দাবি । এ কারণে আফগানিস্তানের হেলমান্দ প্রদেশে দাড়ি কামানো অথবা ছাঁটার ব্যাপারে নরসুন্দরদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।
রোববার তালেবানরা নরসুন্দরদের আনুষ্ঠানিক নোটিশ দিয়েছে। যাতে বলা হয়েছে চুল ও দাড়ির ক্ষেত্রে ইসলামি আইন অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। এতে আরও বলা হয়েছে এই ব্যাপারে কোন ধরনের অভিযোগ করার অধিকার কারো নেই। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের কঠোর সাজা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছে।
তালেবানদের এমন আদেশে পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নরসুন্দরেরা। কাবুলের বেশ কিছু নরসুন্দরও জানিয়েছেন, তারাও একই ধরনের আদেশ পেয়েছেন। একজন নরসুন্দর জানিয়েছেন, তালেবান যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত তাদের কাছে আসছেন এবং শাসিয়ে যাচ্ছেন যে, যারা আদেশ অমান্য করছে তাদের ধরার জন্য পুলিশ পাঠানো হবে।
কাবুলের সবচেয়ে বড় হেয়ার-ড্রেসিং দোকানের মালিক জানিয়েছেন, তিনি একটি ফোন কল পেয়েছেন। নিজেকে সরকারি কর্মকর্তা বলে পরিচয় দিয়ে তাকে একজন হুমকি দিয়েছেন ‘মার্কিন স্টাইল’ অনুসরণ না করার জন্য। নরসুন্দরেরা জানিয়েছেন তালেবানদের এমন আদেশে তারা পেশাগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
একজন নরসুন্দর বলেছেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে এই পেশায় আছি। কিন্তু আমি আর চালিয়ে যেতে পারব বলে মনে হচ্ছে না।’ তার সেবাগ্রহীতাদের দাড়ি কামানো বন্ধ করে দিয়েছেন। দাম কমিয়েও খদ্দের আকর্ষণ করা যাচ্ছে না বলে জানাচ্ছেন তিনি।
এমন আদেশ তালেবানের অতীত শাসনামলে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। যদিও তারা আগের মতো অত কঠোর নিয়মকানুন রাখবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত সময়কালে তালেবান শাসনামলে জমকালো চুল না রেখে বরং পুরুষদের দাড়ি রাখার ব্যাপারে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরও দাড়ি চেঁছে ফেলা অথবা বিভিন্ন কায়দার চুল-দাড়ি রাখা আফগানিস্তানে জনপ্রিয় হয়েছে।
গত মাসে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেবার পর থেকে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর সাজা আরোপ করছে তালেবান। শনিবার হেরাত প্রদেশে বন্দুকযুদ্ধে নিহত চারজন অপহরণকারীর লাশ অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হিসাবে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।