মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির জনক, শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী, ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা মোহসেন ফাখরিজাদেহ্কে রিমোট কন্ট্রোল্ড বা দূর নিয়ন্ত্রিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) স্নাইপার মেশিনগান দিয়ে এক হাজার মাইল দূর থেকে হত্যা করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। শনিবার এক প্রতিবেদনে তারা বলেছে যে, ২০২০ সালের নভেম্বরে মোসাদ ওরফে ইসরায়েলি এজেন্টরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটায় এবং তার দলের ১৬ জন সদস্যকেও তারা হত্যা করেছে বলে সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে জেরুজালেম পোস্ট।
হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ আমেরিকান, ইসরাইলি এবং ইরানি কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার ও বিবরণের ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীকে হত্যার দিন আসলে কী ঘটেছিল, তা প্রথমবারের মতো প্রকাশ করেছে নিউ ইয়র্ক টাইম্স। তারা জানিয়েছে, হামলায় উন্নতমানের রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা পরিচালিত এবং রোবোটিক যন্ত্রের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতি মিনিটে ৬শ’ রাউন্ড গুলি চালাতে সক্ষম বেলজিয়ামে তৈরি এফএন এমএজি মেশিনগানের একটি বিশেষ মডেল ব্যবহৃত হয়েছিল। পুরো অস্ত্রটির ওজন প্রায় এক টনের মতো বলে অস্ত্রটি কয়েকমাস ধরে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে ইরানে আনা হয়েছিল।
এ ধরনের রিমোট-কন্ট্রোল মেশিনগান এখন দূরবর্তী টার্গেটেড কিলিংয়ের জন্য উচ্চ প্রযুক্তির অস্ত্রের অস্ত্রাগারে যুদ্ধ-ড্রোনের সাথে যোগ দিয়েছে। যেখানে একটি ড্রোনকে গুলি করে ধ্বংস করা যেতে পারে, সেখানে এর বিপরীতে রোবটিক মেশিনগান আকাশে কোন মনোযোগ আকর্ষণ করে না এবং যে কোন স্থানে স্থাপন করা যেতে পারে, যা নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তির জগৎকে নতুন রূপ দিতে পারে।
মোসাদের পরিচালক ইয়োসি কোহেনের নেতৃত্বে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের প্রথম দিকে ইসরাইলি কর্মকর্তাগণ ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং সিআইএ পরিচালক জিনা হাস্পেলসহ উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ধারাবাহিক বৈঠকের পর মোহসেনকে হত্যার প্রস্তুতি শুরু হয়।
মোহসেনকে দূর নিয়ন্ত্রিত অস্ত্র নাকি সরাসরি হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে ইরান, ইসরাইল ও এমনকি পুরো বিশ্বেই কম পানি ঘোলা হয়নি। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইসরাইলি গোয়েন্দাদের সহায়তায় মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের সামরিক কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সুলেমানির হত্যাকাণ্ডের পর, এবার মোহসেন হত্যাকাণ্ড সস্পর্কিত বিতর্কের অবসান ঘটল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।