নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। একজন গোল মেশিন। যেই দলেই খেলেছেন, গোলের ফুলঝুরি দেখেছে দর্শক-সমর্থকরা। নতুন করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার ম্যাচটিও আলোকিত করেছেন পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। তার পুনরায় অভিষেকের দিনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে। চার গোলের দুটিই এসেছে রোনালদোর পা থেকে। অথচ ৩৬ বছর বয়সী তারকা বলছেন, ফেরার ম্যাচে দুই গোল পাবেন, তা চিন্তাও করেননি!
নিউক্যাসলের বিপক্ষে ম্যানইউর প্রথম দুটি গোলই ছিল রোনালদোর। ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে গ্যালারি ভর্তি দর্শক-সমর্থকরা এক অন্যরকম আনন্দে মেতে উঠেছিলেন। ম্যাচশেষে পর্তুগিজ তারকা বলেছেন, ‘আমি দুই গোল পাবো, আশা করিনি। মনে করেছিলাম একটি পাবো। সেখানে দুটি পেয়েছি। এটা আমার জন্য অবিশ্বাস্য মুহূর্ত।’
অবশ্য ঘরের ছেলে হয়েও শুরুর আগে নার্ভাস ছিলেন সিআর সেভেন। সেই সময়ের অনুভূতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘এটা অবিশ্বাস্য। যখন আমি খেলা শুরু করেছিলাম, তখন অনেক নার্ভাস ছিলাম। শপথ করে বলছি। আমাকে যেভাবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। তবে আমি এখানে এসেছি ম্যাচ জিততে। ক্লাবকে সাহায্য করতে।’
এখন ম্যানইউকে নিজের সেরাটা দেওয়ার পরিকল্পনা রোনালদোর, ‘চিন্তা করছিলাম যে, ভালো খেলে দলকে সাহায্য করতে পারবো। আমি গর্বিত। দলকে যে সাহায্য করার সামর্থ্য আমার আছে, সেটা দেখাতে চাই। সবাই জানে ইংল্যান্ডের ফুটবল একটু ভিন্ন ধরনের। যে কারণে এখানে আবার ফিরেছি।’
ম্যানইউর বর্তমান কোচ ওলে গানার সুলশার একসময় রোনালদোর সতীর্থ ছিলেন। সেই সুলশার রোনালদোর দুই গোল দেখে বলেছেন, ‘আমি ক্রিস্টিয়ানোর পারফরম্যান্সে খুশি। দলের পারফরম্যান্সেও। রোনালদো বিশেষ একজন ও বিশেষ খেলোয়াড়। এমনকি ক্লাবের ইতিহাসেও।’
বিপরীত চিত্র রোনালদোর পুরনো ক্লাবে। রোনালদো ছেড়ে যাওয়ার পর টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছে জুভেন্টাস। গতপরশু রাতে সিরি আ’তে নাপোলির কাছে হেরেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। নাপোলি নিজ মাঠে ২-১ গোলে হারায় জুভদের। এম্পোলির কাছে নিজ মাঠে হারার পর এটি জুভেন্টাসের টানা দ্বিতীয় হার। লিগে এখনও কোনো ম্যাচ জেতেনি রোনালদোর সাবেক ক্লাব।
নাপোলির ডিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে জুভেন্টাসকে নামতে হয় তারকা স্ট্রাইকার পাওলো দিবালাকে ছাড়া। আর্জেন্টিনার সঙ্গে বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব খেলে ক্লাবে সময়মতো যোগ দিতে পারেননি তিনি।
এক রোনালদো আসার পর লিগে তৃতীয় জয় পেল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সঙ্গে এক ড্রয়ে চার ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠেছে তারা। অন্যদিকে জুভেন্টাস এখনও রোনালদোর ঘাটতি পুষিয়ে উঠতে পারেনি। সর্বসাকুল্যে ইউনাইটেডে উৎসব, আর জুভেন্টাসে হতাশা। সবকিছুর মূলে একজনই। তিনি রোনালদো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।