Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন হবে আমাদের প্রধান অংশীদার: তালেবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫৫ পিএম

চীন তালেবানের ‘প্রধান অংশীদার’ হবে এবং আফগানিস্তানকে পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। তালেবানের একজন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বুধবার এই কথা বলেছেন।

ইতালীর সংবাদপত্র লা রিপাবলিকা থেকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে মুজাহিদ বলেন, ‘চীন আমাদের প্রধান অংশীদার হবে এবং আমাদের জন্য একটি বড় সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করবে কারণ তারা আমাদের দেশে বিনিয়োগ এবং পুনর্গঠন প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে প্রস্তুত।’ তালেবান চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগকে মূল্য দেয় কারণ প্রকল্পটি প্রাচীন সিল্ক রোডকে পুনরুজ্জীবিত করবে। এই মন্তব্য করে তিনি বলেন, চীন আফগানিস্তানকে তার সমৃদ্ধ তামার সম্পদকে পুরোপুরি কাজে লাগাতে এবং দেশটিকে বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের পথে সাহায্য করবে। তিনি আরও বলেন, তালেবান রাশিয়াকে এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে দেখে এবং মস্কোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে।

কাবুল বিমানবন্দরের কথা বলতে গিয়ে মুজাহিদ বলেন, স্থাপনাটি পুরোপুরি তালেবানদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে কিন্তু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি ইতালীর প্রকাশনাকে বলেন, কাতার এবং তুরস্ক বিমানবন্দরে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিচ্ছে। ‘বিমানবন্দরটি আগামী তিন দিনের মধ্যে পরিষ্কার হওয়া উচিত এবং অল্প সময়ের মধ্যে এটি পুনর্নির্মাণ করা হবে। আমি আশা করি এটি সেপ্টেম্বরে আবার চালু হবে,’ তিনি বলেছিলেন।

ইতালির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মুজাহিদ বলেন, তালেবান আশা করছে ইতালি তাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেবে এবং কাবুলে তার দূতাবাস পুনরায় চালু করবে। প্রসঙ্গত, তালেবানরা ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যার ফলে প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন।

এর আগে তালেবানের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, ভারতীয় অবৈধ অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের মুসলমানদের পক্ষে কথা বলার অধিকার তালেবানের রয়েছে। বিবিসিকে দেয়া এক জুম সাক্ষাৎকারে সোহেল শাহীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দোহা চুক্তির শর্তগুলো স্মরণ করে বলেন, তাদের কোনো দেশের বিরুদ্ধে সশস্ত্র অভিযান চালানোর কোনো নীতি নেই। দোহায় কথা বলার সময় শাহীন বলেছিলেন যে, একজন মুসলিম হিসেবে কাশ্মীর, ভারত এবং অন্য যে কোন দেশে বসবাসকারী মুসলমানদের পক্ষে কথা বলা তার অধিকার। শাহীন বলেন, ‘আমরা আমাদের আওয়াজ তুলব এবং বলব যে মুসলমানরা আপনার নিজের মানুষ, আপনার নিজের নাগরিক। তারা আপনার আইনে সমান অধিকারের অধিকারী।’

সমালোচকরা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ২০১৪ সাল থেকে ভারতে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য অপরাধ বেড়েছে। যদিও বিজেপি ও তার সহযোগীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তিনটি প্রতিবেশী দেশ থেকে অবৈধভাবে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের বিতর্কিত আইনকেও মুসলমানদের লক্ষ্য হিসেবে দেখা হয়েছে। ভারত তার প্রশাসনের অধীনে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছে এবং যেভাবে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে তাতে অনেক নাগরিক ক্ষুব্ধ।

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনী প্রত্যাহার এবং তারপর আফগানিস্তানের উপর তালেবানের নিয়ন্ত্রণ, যা পাকিস্তানের কাছাকাছি বলে বিবেচিত হয়, ভারতের অনেক মহলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে তালেবানের মধ্যে থাকা দলগুলো এখন পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ভারতবিরোধী গোষ্ঠীর দিকে ঝুঁকছে। একটি ভাইরাল টিভি বিতর্কের ফুটেজে পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের একজন নেতার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘তালেবানরা বলেছে যে হো আমাদের সঙ্গে আছে এবং তারা আমাদের (কাশ্মীরকে) মুক্ত করতে সাহায্য করবে।’ সূত্র : ট্রিবিউন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তালেবান

১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ