পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
আফগানিস্তানে মার্কিন দখলদারিত্ব শেষ হওয়ার ঠিক ১১ দিনের মাথায় তালেবান এবং আমেরিকা উভয়ের কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান প্রদেশ বা আইএসকেপি। গত বৃহস্পতিবার ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের বাইরের গেটে অত্যন্ত শক্তিশালী আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় গত রবিবার সকালে এই কলাম লেখার সময় পর্যন্ত ১৮৮ জন আদম সন্তান নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ১৩ জন মার্কিন সেনা। সিএনএনের খবরে প্রথমে বলা হয়েছিল যে, এই ১৮৮ জন ভাগ্যহত মানুষের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা ছাড়াও রয়েছেন ২৮ জন তালেবান যোদ্ধা। তবে শনিবার তালেবানদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই বোমা হামলায় কোন তালেবান যোদ্ধা নিহত হয়নি। ১৩ জন মার্কিন সেনা ছাড়া আর যারা নিহত হয়েছে তাদের প্রায় সকলেই সাধারণ আফগান নাগরিক। এদের মধ্যে কোন বিদেশী নাগরিক রয়েছেন কিনা সেটি রবিবারে এই কলাম লেখা পর্যন্ত পরিষ্কার হয়নি। বোমা হামলা এবং মার্কিন নাগরিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার ৪ ঘণ্টার মধ্যেই ‘প্রতিশোধ’ গ্রহণের নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শনিবার দুপুরের খবরে বলা হয়, মার্কিন ড্রোন বিমান আফগানিস্তানের নাঙ্গারহার প্রদেশে সুনির্দিষ্ট টার্গেটে আঘাত করে। এই ড্রোন হামলার ফলে কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলার পরিকল্পনাকারী নিহত হয়েছে।
এই বোমা হামলা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা সেসবের বিস্তারিত বর্ণনায় যাব না। প্রশ্ন উঠেছে, মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন ৩৬ ঘণ্টা আগে থেকেই বারবার সতর্ক বার্তা দিচ্ছিল যে, যেকোনো সময় বিমানবন্দর বা আশেপাশে শক্তিশালী বোমা হামলা হবে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন প্রথমত ৫ হাজার মার্কিন সৈন্য। তারপরেও ঐ বীভৎস ঘটনা ঘটেছে। এজন্য কেউ কাউকে দোষারোপ করছে না। আজ হোক আর কাল হোক, মার্কিনীরা আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাবে। কিন্তু তালেবানরা রয়ে যাবে দেশ শাসন করতে। তালেবান সরকারের প্রধান কাজ হবে দেশটির রাজনৈতিক বিভক্তি যতদূর সম্ভব সংকুচিত করা। দ্বিতীয়তঃ ধ্বসে পড়া অর্থনীতির পুনরুদ্ধার ও পুনর্গঠন। সেখানে এসে যুক্ত হলো আইএসের মতো মারাত্মক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বৈরী শক্তি। তবে এখানে প্লাস পয়েন্ট হলো এই যে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্ব্যর্থহীন ভাষায় ঘোষণা করেছেন, এই সন্ত্রাসী হামলার সাথে তালেবানদের বিন্দুমাত্র সংশ্রব নাই। এই ঘোষণার ফলে ‘যত দোষ তার জন্য দায়ী ঐ নন্দ ঘোষ’- সেই স্কেপগোট (ংপধঢ়বমড়ধঃ) হওয়া থেকে আপাতত রক্ষা পেল তালেবান।
দুই
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারীতে কাতারের রাজধানী দোহায় যখন মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল, তখন আমেরিকা তালেবানদের নিকট থেকে আশ্বাস চায় যে, তালেবানরা আর মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা করবে না। তালেবান সেই কথা রেখেছে এবং তারপর তারা আর মার্কিন বাহিনীর ওপর কোনো হামলা করেনি। অতীতে বারাক ওবামা দুই দফা প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তালেবানদের সাথে সৈন্য প্রত্যাহার করার ব্যাপারে ওয়াদার অনেক বরখেলাপ করেছেন, কথার অনেক নড়চড় করেছেন। কিন্তু জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কথার কোন নড়চড় করেননি। কাতারে সম্পাদিত চুক্তি মোতাবেক আজ, অর্থাৎ ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার-এর মধ্যেই সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহারের কথা এবং ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেওয়ার কথা।
তালেবান এবার খুব হিসাব করেই পা ফেলেছে। আর হবে নাই বা কেন? ২০ বছরের পোড়খাওয়া সংগঠন ১৯৯৬ থেকে ২০০১, এই ৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে তারা যেসব ভুল করেছিল, ২০ বছরের সুদীর্ঘ সময় সেইসব পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং সেই আলোকে হয়তো তাদের নীতি এবং কৌশল সংশোধন করা হয়েছে। তবে এই সংশোধনী করতে গিয়ে তারা তাদের মৌলিক আদর্শ, অর্থাৎ ইসলামী শরিয়া কাঠামোর মধ্য থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, সেই নীতি বিসর্জন দেয়নি। বরং সেই নীতিতে অটল রয়েছে।
প্রথমে তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছিল মাত্র তিনটি দেশ। দেশ তিনটি হলো, পাকিস্তান, সউদী আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবার তাই বিশ্ব স্বীকৃতির জন্য তারা সতর্কভাবে পা ফেলছে। প্রথমটি হলো নারীর মর্যাদা। সরকার গঠন না করলেও তালেবান হাইকমান্ড ঘোষণা করেছে যে, নারীরা একা একা বাইরে বের হতে পারবে। তবে তিন দিনের বেশি বাড়ির বাইরে থাকলে এক জন মাহরাম সাথে থাকতে হবে। নারীরা স্কুল কলেজে যেতে পারবে। এমনকি সরকারি অফিস-আদালতেও তারা কাজ করতে পারবে। ঘরের বাইরে বের হতে হলে বোরখা পরা তাদের জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। তবে তাদেরকে হিজাব পরতে হবে।
আগের লেখায় আমি উল্লেখ করেছি যে, কাবুলের পতনের পর তালেবান সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যারা মার্কিনী দখলদার সরকারে কাজ করেছে, তাদের সহযোগিতা করেছে (কোলাবরেটর) বা তালেবানদের বিরোধিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধেও কোন প্রতিশোধ নেওয়া হবে না। বরং পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক করার জন্য অফিস-আদালত খুলে দিতে বলা হয়েছে এবং অফিসার ও কর্মচারীগণকে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে।
তিন
তালেবানরা কনফিডেন্ট ছিল যে, মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই তারা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। সম্ভবত এমন ধারণা চীনেরও ছিল। তাই কাবুল পুনরুদ্ধার, এমনকি প্রাদেশিক রাজধানী সমূহের পতনের পূর্বে গণচীনের স্টেট কাউন্সিলর এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তালেবানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানান। সেই মোতাবেক গত ২৮ জুলাই আফগান রাজনৈতিক কমিশন প্রধান মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার চীন সফর করেন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইর সাথে দেখা করেন। তার সাথে ছিলেন তালেবানের ধর্মীয় ও প্রচার বিভাগের প্রধানগণ। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন যে, আফগান জনগণই আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নিয়ন্ত্রণ করবে। এটি তালেবান সরকারকে চীনা স্বীকৃতির পূর্ব লক্ষণ। ধারণা করা হচ্ছে যে, চীন এবং তালেবানের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেছে পাকিস্তান।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা করেন যে, পূর্ব তুর্কিস্তান (তুর্কমেনিস্তান) ইসলামিক আন্দোলন দমন করবে তালেবান, কারণ এই আন্দোলন চীনের নিরাপত্তার প্রতি প্রত্যক্ষ হুমকি। তালেবান কথা দিয়েছে যে, অন্য দেশের বিরুদ্ধে তৎপরতা চালানোর জন্য তালেবান আফগানিস্তানের ভূমি ব্যবহার করতে দেবে না।
তালেবানদের এই ওয়াদাটি তাৎপর্যময়। এটি শুধু চীনের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়, ভারতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পাকিস্তান বহুদিন থেকে অভিযোগ করে আসছে যে, উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, বেলুচিস্তান এবং সিন্ধুকে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ভারত অতীতেও চেষ্টা করেছে, এখনও করছে। অতীতে সিন্ধুতে জিএম সৈয়দকে দিয়ে ‘জিয়ে সিন্ধ’ নামক বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করিয়েছে। সীমান্ত গান্ধী টাইটেল দিয়ে খান আবদুল গাফফার খানকে দিয়ে স্বাধীন ‘পাখতুনিস্তান’ আন্দোলন করিয়েছে। বেলুচ লিবারেশন আর্মি নামে বেলুচিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছে।
জনসমর্থনের অভাবে জিয়ে সিন্ধ আন্দোলনের মৃত্যু ঘটেছে। গত ২৬ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত খবরের শিরোনাম, ‘ভারতীয় অর্থায়ন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিষিদ্ধ তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) বিশৃংখলার মধ্যে রয়েছে। ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকার পাকিস্তান বিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য টিটিপি এবং বেলুচ লিবারেশন আর্মিকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করতে দিয়েছিল।’ এখন ভবিষ্যৎ তালেবান সরকার চীন, পাকিস্তান ও ইরানের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সন্ত্রাসী তৎপরতা চালাতে ভারতসহ কোন সরকারকে অ্যালাও করবে না।
তালেবানের বিদেশনীতি সরকারিভাবে ঘোষিত হয়নি। কারণ, এখন পর্যন্ত সরকার গঠিত হয়নি। এক্ষেত্রেও তালেবানরা বাস্তববাদী নীতি অনুসরণ করছে। যেরকম বিদ্যুৎ গতিতে তারা সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তাতে তাদের পক্ষে এককভাবে সরকার গঠনে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু তালেবানরা চায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা।
আফগানিস্তান নৃতাত্ত্বিক এবং গোত্রীয় ভাবে প্রধানত ৪ টি জাতিতে বিভক্ত। প্রধান নৃগোষ্ঠী হলো পশতুন বা পাঠান - ৪২ শতাংশ। দ্বিতীয় নৃগোষ্ঠী হলো তাজিক, ২৭ শতাংশ। তৃতীয় ও চতুর্থ হলো উজবেক ও হাজারা। উভয়েই ৯ শতাংশ। আইম্যাক, তুর্কমেন এবং বেলুচ হলো যথাক্রমে ৪, ৩ ও ২ শতাংশ। দেশটিতে নৃতত্ত্বের ভিত্তিতে রাজনৈতিক বিভাজন সোভিয়েত দখলদারদের পতনের আগে ছিল না। সোভিয়েত দখলদার বাহিনীর বিদায়ের পর বুরহানুদ্দিন রাব্বানীর নেতৃত্বে যে সরকার হয় সেই সরকারে সংখ্যালঘু নৃতাত্ত্বিক তাজিকদের প্রাধান্য ছিল। সোভিয়েত দখলদারদের বিরুদ্ধে সমগ্র আফগান জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে যুদ্ধ করেছিল। যোদ্ধাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন পশতুন নেতা গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার, তাজিক নেতা আহমদ শাহ মাসুদ প্রমুখ। তাদেরকে বলা হতো মুজাহিদীন। মোল্লা ওমরও একজন মুজাহিদীন ছিলেন। সোভিয়েতবিরোধী যুদ্ধে মর্টারের আঘাতে তিনি এক চক্ষু হারান। সোভিয়েত দখলদারিত্বের অবসানের পর ১৯৯২ সালে বোরহানউদ্দিন রব্বানীর নেতৃত্বে যে সরকার হয়, সেই সরকারে নর্দান অ্যালায়েন্সের বিপুল প্রাধান্য ছিল। আহমদ শাহ মাসুদ এবং আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ভারতপন্থী নীতি অনুসরণ করেন। কিন্তু গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার সেই নীতির বিরোধী ছিলেন।
১৯৯২ সালেই মোল্লা ওমর তালেবান নামক রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৯৬ সালে রাব্বানীর সরকারের পতন ঘটিয়ে মোল্লা ওমরের নেতৃত্বে তালেবান সরকার গঠিত হয়। তালেবান এবং আহমদ শাহ মাসুদের নর্দান অ্যালায়েন্সের শত্রুতা এত প্রবল হয় যে, ২০০১ সালে আমেরিকা সামরিক অভিযানে আফগানিস্তান দখল করলে উজবেক কমান্ডার আব্দুর রশিদ দোস্তাম এবং নর্দান অ্যালায়েন্স প্রকাশ্যে মার্কিন হামলাকে সমর্থন করেন। তালেবান সরকারের পতনের দুই দিন আগে আততায়ীর হাতে কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদ নিহত হন। নর্দান অ্যালায়েন্সের ঘাঁটি হলো ছোট প্রদেশ পাঞ্জশির। এখন তালেবানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন আহমদ শাহ মাসুদের ৩২ বছর বয়স্ক পুত্র আহমদ মাসুদ। তাকে পরাস্ত করার জন্য প্রস্তুত আছে মোল্লা ওমরের ৩১ বছর বয়স্ক পুত্র মোল্লা ইয়াকুব।
এই পটভূমিতে বিশ্ব শক্তিগুলো চাচ্ছে একটি ইনক্লুসিভ (অন্তর্ভুক্তিমূলক) সরকার। অর্থাৎ প্রধান প্রধান নৃতাত্ত্বিক জাতি এবং গোত্রের প্রতিনিধিরা যেন সেই সরকারে অন্তর্ভুক্ত থাকে। তালেবানরাও সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি সম্ভব হলে বিশ্বস্বীকৃতি মিলবে তাড়াতাড়ি। এজন্যই আফগানিস্তানে সরকার গঠনে দেরি হচ্ছে। ২০ বছরে পোড়খেয়ে তালেবানরা ম্যাচিউরড বা পরিপক্ক হয়েছেন। তালেবানদের সামনে অনেক কাজ। অর্থনৈতিক পুনর্গঠন, যুগোপযোগী পররাষ্ট্রনীতি প্রণয়ন, রাজনৈতিক বিভাজন কমিয়ে আনা ইত্যাদি। আগামী মঙ্গলবার এসব বিষয় নিয়ে লিখব, ইনশাআল্লাহ।
E-mail: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।