মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানে অন্তত ২৫ জন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যার দাবি করেছেন ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি। দেশটিতে দ্বিতীয় দফা দায়িত্ব পালনকাল এক সামরিক হেলিকপ্টার থেকে তাদের হত্যা করেন ডিউক অব সাসেক্স এবং ক্যাপটেন ওয়েলস খ্যাত হ্যারি। নিজের স্মৃতিকথা ‘স্পেয়ার’ নামক একটি বইতে হ্যারি এই দাবি করেছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুসারে, ‘স্পেয়ার’ নামে লিখিত স্মৃতিকথাটি আগামী সপ্তাহে প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভুল করে নির্ধারিত সময়ের আগেই বইটি স্পেনের বাজারে চলে আসে। সেই বইতেই হ্যারি এই দাবি করেন।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনীতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সদস্য ছিলেন প্রিন্স হ্যারি। তিনি তার বইতে লিখেছেন, আফগানিস্তানে থাকাকালে তাকে ছয়টি মিশনে যেতে হয়েছে এবং এসব মিশনে প্রাণহানিও হয়েছে। তিনি দাবি করেছেন, এসব মানুষের প্রাণ যাওয়ার জন্য তিনি লজ্জিত কিংবা গর্বিত কোনোটাই নন তিনি।
আরেক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যারি তার লিখিত বইয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, যুদ্ধের সেই উত্তপ্ত সময়ে তিনি সেই ২৫ জনকে ‘মানুষ’ হিসেবে বিবেচনা করেননি বরং তাদের ‘দাবার ঘুঁটি’ হিসেবে মনে করেছিলেন। যাদের কেবল দাবার বোর্ড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল হত্যা করার মাধ্যমে।
৩৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রথমবারে মতো তার সৈনিক জীবনে আফগানিস্তানে কতজন তালেবান যোদ্ধাকে হত্যা করেছিলেন তার সংখ্যা প্রকাশ করলেন। প্রিন্স হ্যারি সবমিলিয়ে ১০ বছর সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। সে সময় তার পদমর্যাদা ছিল ক্যাপটেন।
যুক্তরাজ্যের আলোচিত প্রিন্স হ্যারি জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর হয়ে কাজ করার সময় আফগানিস্তানে ২৫ জনকে হত্যা করেছেন তিনি।
নিজের আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ারে’ এমন তথ্য জানিয়েছেন হ্যারি। তিনি ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর হয়ে ১০ বছর কাজ করেছেন। এই সময়ের মধ্যে দু’বার আফগানিস্তানে কথিত জঙ্গিবাদ বিরোধী মিশনে গিয়েছিলেন তিনি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, আফগানিস্তানে মানুষ হত্যার ব্যাপারে প্রিন্স হ্যারি আত্মজীবনীমূলক বই ‘স্পেয়ারে’ জানিয়েছেন, তিনি আপাচি হেলিকপ্টারের পাইলট ছিলেন। পাইলট হিসেবে ছয়টি অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। ওই অভিযানে ‘মানুষ নিহত’ হওয়ার ঘটনা ঘটে।
তবে হ্যারি তার বইয়ে জানিয়েছেন, ওই ২৫ জনকে তার কাছে মানুষ মনে হয় না। এর বদলে তাদের ‘দাবার গুটি’ মনে হয়। যাদের তিনি দাবার বোর্ড থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
মানুষ হত্যার বিষয়ে হ্যারি তার বইয়ে বলেছেন, ‘এটি এমন একটি সংখ্যা নয় যেটি আমাকে প্রশান্তি দেয়। তবে এটি আবার আমাকে বিব্রতও করে না।’
হেলিকপ্টারের হামলায় নিহত হওয়া সবাই তালেবানের যোদ্ধা ছিলেন বলে দাবি করেন হ্যারি।
এর আগে ২০১৩ সালে ব্রিটিশ রাজপরিবারের এ উত্তরাধীকারী জানিয়েছিলেন, তিনি যখন আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন তখন মানুষ হত্যা করেছিলেন। তবে এবারই প্রথমবারের মতো প্রকাশ করলেন ঠিক কতজনকে হত্যা করেছেন।
এদিকে প্রিন্স হ্যারি তার এ বইয়ে আরেকটি বিস্ফোরক ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, তার বড় ভাই ও সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধীকারী প্রিন্স উইলিয়াম তাকে জামার কলার ধরে ঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দিয়েছিলেন। মূলত প্রিন্স হ্যারির মার্কিন অভিনেত্রী স্ত্রী মেগান মের্কেলকে নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে মারামারি ঘটনা ঘটেছিল। প্রিন্স হ্যারি ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও মেগানকে নিয়ে দীর্ঘদিন দ্বন্দ্ব চলে। সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।