গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর হাতিরঝিলের পশ্চিম রামপুরায় গেট খোলা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাড়ির মালিকের ছোট ভাইয়ের ইটের আঘাতে ভাড়াটিয়া কামরুল ইসলামের (৬৭) মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত কাজী জিকু (৩৭) পলাতক রয়েছেন।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে পূর্ব রামপুরা এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের শ্যালক আশরাফুল হক বলেন, অনেক রাতে বাড়ির মালিকের ভাই কাজী জিকু বাইরে থেকে ভেতরে ঢোকার জন্য গেটে ধাক্কা দিতে থাকে। আমার দুলাভাই পরিবারসহ ওই ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকেন। গেট কেন খোলা হচ্ছে না এজন্য আমার ভাগ্নেকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে জিকু। গেট খুলে দেওয়ার পর আমার ভাগ্নে জানতে চায়, আপনি গালাগাল করছেন কেন। পরে বিছানা থেকে আমার দুলাভাইও উঠে আসেন। কথা বলার পরই ইট দিয়ে প্রথমে আমার ভাগ্নে ও পরে দুলাভাইয়ের মাথায় আঘাত করে জিকু। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুলাভাইকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাগ্নের বয়স কম হওয়ার সে নিজেকে সামলে নিয়েছে। কিন্তু দুলাভাইয়ের বয়স বেশি হওয়ায় তিনি ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তো মারাই গেলেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেছি। পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
নিহত কামরুল ইসলাম রামপুরার পশ্চিম উলন ৫৭ নম্বর বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি দুই ছেলের বাবা। তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার থানার নবীপুরে।
হাতিরঝিল থানার এসআই মো. মিনহাজুল ইসলাম জানান, আমরা রাত ৩টা ৫ মিনিটে বেতারের মাধ্যমে খবর পেয়ে রামপুরার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাই। জরুরি বিভাগ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, এ ঘটনায় পরিবার হাতিরঝিল থানার একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।