Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে তালেবান

‘প্রকাশ্য যোগাযোগ’ স্থাপন চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:০৩ এএম

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেয়ার জন্য তুরস্কের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছে তালেবান। আফগানিস্তান থেকে সমস্ত বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করার পর তালেবান তুরস্ক এই সহায়তা দিক-এমনটাই চাইছে তালেবান।

এদিকে, তালেবানরা কাবুল দখল করার পর বুধবার প্রথমবারের মতো তাদের সঙ্গে কাবুলে প্রকাশ্য ক‚টনৈতিক বৈঠক করেছে চীন। তালেবানের রাজনৈতক অফিসের উপ প্রধান আব্দুল সালাম হানাফির এবং চীনা রাষ্ট্রদূত ওয়াং ইউ-র মধ্যে বুধবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চীন তালেবানের সঙ্গে ‘প্রকাশ্য ও কার্যকর যোগাযোগ’ স্থাপন করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, চীন কাবুলকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম এবং উভয় পক্ষের জন্য সব ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনার চ্যানেল’ বলে মনে করে। তালেবানরা ক্ষমতায় আসার আগে চীন তালেবানের সিনিয়র নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলকে গত মাসে আলোচনার জন্য ডেকেছিল। তারা কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা রেখেছে এবং বলেছে যে, আফগানিস্তান থেকে তার নাগরিকদের পাইকারিভাবে সরিয়ে নেয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। পাশাপাশি তারা কাবুল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল দৃশ্যের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনাও করেছে। ওয়াং বলেন, ‘আমরা সবসময় আফগানিস্তানের সার্বভৌম স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখÐতাকে সম্মান করেছি, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করেছি এবং সমগ্র আফগান জনগণের প্রতি বন্ধুত্বের নীতি মেনে চলেছি।’ তিনি বলেন, ‘চীন আফগান জনগণের নিজস্ব ভবিষ্যত এবং ভাগ্যের বিষয়ে স্বাধীন সিদ্ধান্তকে সম্মান করে, আফগান নেতৃত্বাধীন এবং আফগান মালিকানাধীন নীতি বাস্তবায়নে সমর্থন করে এবং আফগানিস্তানের সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ভাল প্রতিবেশী সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত থাকে এবং গঠনমূলক ভ‚মিকা পালন করে।’

প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা কাবুল দখল করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ভারত আফগানিস্তান থেকে তাদের কুটনৈতিক মিশন প্রত্যাহার করে এবং দূতাবাস বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পাকিস্তান, চীন এবং রাশিয়া কাবুলে তাদের দূতাবাস খোলা রাখে এবং তালেবানদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে। কাবুল দখলের আগে গত মাসেই মোল্লা আব্দুল গনি বারাদারের নেতৃত্বে তালেবানদের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফরে গিয়েছিল। চীনও তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করেছিল। সেসময় চীন তালেবানদের প্রতি শিনচিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এবং বিশেষকরে পূর্ব তুর্কিস্তান ইসলামি আন্দোলন (ইটিআইএম)-কে সহায়তা না করার আহবান জানায়। তালেবান নেতা মোল্লা বারাদার চীনের সেই আহবানে সাড়া দিয়ে প্রতিশ্রæতি দেন যে, তালেবানরা ইটিআইএম-কে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কোনো জঙ্গি তৎপরতা চালাতে দেবে না। এসময় মোল্লা বারাদার চীনকে আফগানিস্তানে ব্যাপকভাবে বিনিয়োগ করার আহবানও জানান। কাবুল দখল করার পর চীন তালেবানদের প্রতি একটি উম্মুক্ত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের আহবান জানায়। এছাড়া জনগণের আকাক্সক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাধারণ প্রত্যাশার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মধ্যপন্থী এবং বিচক্ষণ দেশীয় ও বৈদেশিক নীতি গ্রহণের পরামর্শও দেয়।

এদিকে, বুধবার তুরস্কের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম চালু রাখার জন্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট চেয়ে তালেবান তুরস্কের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। গত ১৫ আগস্ট রাজধানী কাবুল দখলের মাধ্যমে তালেবান পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে। খবরে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে তুরস্কের সামরিক বাহিনী প্রত্যাহার কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে তুর্কি বিশেষজ্ঞরা কাবুল বিমানবন্দরের পরিচালনায় তালেবানকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে থেকে যেতে পারেন। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্ধারিত সময়সীমার (৩১ আগস্ট) মধ্যে বিদেশি বাহিনী চলে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করতে তুরস্কের কাছে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছে তালেবান। ন্যাটো জোটের অধীনে কাবুলে থাকা তুর্কি সামরিক বাহিনীকেও আগস্টের শেষ তারিখের মধ্যে পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অসংখ্য যোগাযোগ এবং বর্তমান পরিস্থিতি ও অবস্থার মূল্যায়ন করার পর, তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর উপাদানগুলো সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। তুর্কি প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেন, সেনা প্রত্যাহারে ৩৬ ঘন্টা সময় লাগবে এবং প্রথম বিমানটি ইতিমধ্যে উড্ডয়ন করেছে। তিনি বলেন, বিমানবন্দর পরিচালনায় তালেবান তুরস্কের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা চেয়েছিল। সেই আলোচনা সম্ভবত ইতিবাচক ফলাফলে পৌঁছাবে। সৈন্য প্রত্যাহারের পর, আমরা সেখানে বিমানবন্দর পরিচালনা করতে পারি।

অবশ্য মাসখানেক ধরে প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের নেতৃত্বাধীন সরকার বলে আসছে যে, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হলেও তারা কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য কিছু সৈন্য রেখে যাবে। এখন তালেবান কর্তৃক কাবুল দখল করার পর তাদেরকে বিমানবন্দরের প্রযুক্তিগত এবং নিরাপত্তা সহায়তা দিতে অনুরোধ করেছে গোষ্ঠীটি। ইতোপূর্বে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও বিদেশি বাহিনী প্রত্যাহার শুরু হলে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে তুরস্ক। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তালেবান। সর্বশেষ গত ১৫ আগস্ট দলটি প্রায় বিনা বাধায় কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নিলে আঙ্কারার ওই পরিকল্পনা ভেস্তে পড়ার উপক্রম হয়। তবে এরপরও তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, তালেবান সরকারের অধীনে কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দায়িত্ব নিতে তুরস্ক প্রস্তুত রয়েছে। এর মধ্যেই বুধবার তুর্কি বাহিনীর আফগানিস্তান ত্যাগের খবর আসে।

২০ বছর পর ফের আফগানিস্তানের শাসনভার নিতে যাওয়া তালেবানের শর্তসাপেক্ষে করা অনুরোধ মেনে নিয়ে বিমানবন্দর পরিচালনার মতো বিপজ্জনক কাজের ভার নেওয়া হবে কি হবে না, সে ব্যাপারে আঙ্কারা এখনও দ্বিধাগ্রস্ত বলে জানিয়েছেন দেশটির এক কর্মকর্তা। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ তুরস্কও আফগানিস্তানে নেটো মিশনের অংশ ছিল। এখনও কাবুল বিমানবন্দরে আঙ্কারার কয়েকশ সেনা অবস্থান করছে। তবে তারা অল্প সময়ের নোটিসেই আফগানিস্তান ছাড়তে পারবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সূত্র : স্কাই নিউজ, বিবিসি, রয়টার্স।

 

 

 



 

Show all comments
  • মন ফড়িং ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৫ এএম says : 0
    "বলুন, হে আল্লাহ! তুমিই সার্বভৌম শক্তির অধিকারী। তুমি যাকে ইচ্ছা রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা রাজ্য ছিনিয়ে নাও এবং যাকে ইচ্ছা সম্মান দান কর আর যাকে ইচ্ছা অপমানিত কর। তোমারই হাতে রয়েছে যাবতীয় কল্যাণ। নিশ্চয়ই তুমি সর্ব বিষয়ে ক্ষমতাশীল।" (সূরা আলে ইমরান, আয়াত-২৬)
    Total Reply(0) Reply
  • Kazi Arfin ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৫ এএম says : 0
    আমেরিকান সৈন্যদের কোন ভাবে আফগানিস্তানে থাকতে দেওয়া উচিত হবে নাহ,,
    Total Reply(0) Reply
  • Sobuj Ahmed Shawok ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৬ এএম says : 0
    যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়, এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, নিশ্চয় তিনি তাওবা কবুলকারী। সুরা নাসর
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৬ এএম says : 0
    তালেবানরা আধুনিক বিশ্বে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার মডেল উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হলে অন্যান্য দেশের ইসলামী আন্দোলন বাধাগ্রস্ত হবে। তাদের উচিত ইসলামের হারানো ঐতিহ্য ইসলামী খিলাফত ব্যবস্থা পুনরুজ্জীবিত করা। ইসলামের সুমহান আদর্শ, বর্তমান আধুনিক বিশ্বের নামধারী সভ্যতার দাবিদারদের চোখের সামনে উপস্থাপন করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Abu Taieb ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৮ এএম says : 0
    তালেবানরা ইসলামী নীতি অনুসরণ করে রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং তার কাঠামো তৈরি করবে। ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা নীতি হলো, গণতন্ত্রের মত শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বোধ পাগল সকলের ভোটে সরকার ঠিক হবে না। বরং সরকার ও সরকারের সকল আমলারা নিয়োগ প্রাপ্ত হবে এমন একটি দল হতে, যারা হবেন নেই নিষ্ঠাবান, সৎ গুনের অধিকারী, জ্ঞানী, বিচক্ষণ, দূরদর্শী এবং সার্বিক জ্ঞানীগুণী সমৃদ্ধ। তারা যাদের নিয়োগ দিবেন: সেখানে প্রার্থী হওয়ার কোন সিস্টেম থাকবে না। আমাদের দেশের ভোটের আগে পোস্টারিং এবং জনগণকে খাওয়ানোর মাধ্যমে যে পরিমাণ টাকা নষ্ট করা হয় এভাবে টাকা নষ্ট করা হবে না। বরং প্রতিটি অঞ্চলে তারা সেই এলাকার জ্ঞানীদের ঠিক করে দিবেন যে তারা তাদের মধ্যে হতে ন্যায়-নিষ্ঠা জ্ঞানী বিচক্ষণ ও দূরদর্শী কাউকে তাদের এলাকার প্রতিনিধি হওয়ার জন্য নির্বাচন করবে। এরপর যাদের নাম আসবে তাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবে সরকার নিজে এবং তার বিশেষ পরিষদের লোকেরা। পর্যবেক্ষণের যদি বাস্তবে তাদের অবস্থা ভাল মনে হয় তখন রাষ্ট্র তাদেরকে ঐ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি যুক্ত করবে। ঐ রাষ্ট্রব্যবস্থায় সকলের অপরাধসমূহ বিচারের আওতায় থাকবে। গণতন্ত্রে যেমন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা যায় না এমন কিছু থাকবে না। বরং তাদের বিরুদ্ধেও মামলা করা যাবে। কারণ সকলে দায়বদ্ধ থাকবে আল্লাহর বিধানের কাছে। আল্লাহর বিধান যে লঙ্ঘন করবে তার বিরুদ্ধেই মামলা হবে সেযে হোক না কেন। আদালত হবে অত্যন্ত দ্রুতগামী। কোন মামলায় 1/2 মাসের বেশি খালাস বিলম্ব হবে না। আদালতে ধনি ও গরিবদের জন্য বৈষম্যমূলক নিয়ম থাকবে না। গণতন্ত্রের নিয়মে বেশিরভাগ অপরাধের শাস্তি তে নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকার জরিমানা ধারা আছে। যার ফলে দেখা যায় ধনীরা টাকা পরিশোধ করে খুব দ্রুত নিজেকে মুক্ত করে নেয় যদিও বড় ধরনের অপরাধী হয়। পরবর্তীতে আবার অপরাধে যুক্ত হয়ে যায়। এ ধরনের জরিমানার নিয়ম থাকবে না। সে রাষ্ট্রব্যবস্থার আরো বহু সৌন্দর্যের দিক রয়েছে। আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন এমন সুন্দর রাষ্ট্র ব্যবস্থার নমুনা পৃথিবীবাসীকে দেখিয়ে দেন। এলোমেলো কিছু কথা লিখে দিলাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Jony Rony ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৮ এএম says : 0
    বিপদে পরলে বিলাই গাছে উঠে এটা আবারও প্রামাণ হলো। এই ভাবেই একদিন পুরো বিশ্ব একদিন মুসলিমরাই শাসন করবে ইনশাআল্লাহ্।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Yeasin Sha ২৭ আগস্ট, ২০২১, ৮:১৮ এএম says : 0
    খুব শিগ্রই মানুষ আফগানিস্তানে ভ্রমন করতে। যাবে। বিশ্ব দরবারে রোল মডেল হিসাবে থাকবে আফগানিস্তান !! অপেক্ষা করুন। বিশ্ব বাসী
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তালেবান

১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ