মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি বারবার দিয়ে আসছে ইসরাইল। এবার সামরিক অভিযানের হুঁশিয়ারি দিয়ে প্রতিরক্ষা বাজেট অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলি সরকার। দেশটিকে চাপে ফেলতে সব ধরনের চেষ্টাও অব্যাহত রেখেছে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ বেড়েই চলেছে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে। গত মাসে ওমান উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার পর তা আরও বেড়ে যায়। ইসরাইলি তেল ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করেছে ইসরাইল। এবার ইরানকে চাপে ফেলতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে আলোচনা করবেন যুক্তরাষ্ট্র সফররত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। এদিকে, ওমান উপসাগরে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলায় ইরানের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন। বুধবার তেল আবিবে একটি অনুষ্ঠানে আবারও ইরানকে দায়ী করে দেশটিকে প্রতিহত করার অঙ্গীকার করেছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজ। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে মধ্যপ্রাচ্যের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে ইরানকে প্রতিরোধ করতে এরই মধ্যে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু করেছে নাফতালি বেনেট সরকার। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র সফরে নাফতালি বেনেট। এরই মধ্যে অ্যামেরিকান ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি এআইপিএসির প্রধানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাথে বৈঠক করেছেন তিনি। বৈঠকে বসবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথেও। এতে ইরান ইস্যুতে আলোচনার কথা রয়েছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ও সা¤প্রতিক সময়ে তেলবাহী ট্যাংকারে হামলার বিষয়টিও বেনেট আলোচনায় উত্থাপন করবেন বলে জানা গেছে। এদিকে, সমপ্রতি ইসরাইলের সেনা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল আমোস ইয়াদলিন বলেছেন, সামরিক হামলা চালিয়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংস করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। তিনি মার্কিন নিউজ চ্যানেল সিএনবিসি’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন, ইসরাইল যেমন ১৯৮১ সালে ইরাকের এবং ২০০৭ সালে সিরিয়ার পরমাণু স্থাপনা মাত্র একবার হামলা চালিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছিল ইরানের পরমাণু স্থাপনা সেভাবে ধ্বংস করা সম্ভব নয়। ইসরাইলের এই সাবেক জেনারেল ও তেল আবিব ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সাথে ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচির তুলনামূলক পার্থক্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি অনেক বেশি সমৃদ্ধ ও বিভিন্ন স্থানে ছড়ানো ছিটানো। অথচ ইরাক ও সিরিয়ার পরমাণু কর্মসূচি ছিল একটি স্থানে সীমাবদ্ধ। ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলো বহু স্থানে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং এগুলোর বেশিরভাগ পাহাড়ের নীচে ভ‚গর্ভে স্থাপন করা হয়েছে। ইসরাইলের বা পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির সার্বিক চিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা লাভ করা সম্ভব হয়েছে কিনা তা নিয়েও তিনি সংশয় প্রকাশ করেন। ইসরাইল হায়ওম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।