মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
তালেবান সম্পর্কে ভারতীয় গণমাধ্যমে এতদিন ধরে যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভয়াবহতা এবং নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছিল তাতে সজোরে আঘাত করলেন কলকাতার যুবক তমাল ভট্টাচার্য। তালেবানকে যে হিংস্র হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছিল তা নিমিষেই ভুল প্রমাণ করেন আফগান ফেরত এই ভারতীয় শিক্ষক। তালেবান ও ইসলামি আইনকানুনের ভুইসী প্রসংশা করে তিনি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অন্যদিকে, অকপটে নিজের চোখে দেখা বাস্তবতাকে তুলে ধরে ফেসুবকে নিজেও প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।
কাবুলের একটি আন্তর্জাতিক স্কুলের শিক্ষক তমালের সুযোগ হয়েছিল তালেবানদের সাথে একান্ত সময় কাটানোর। দেশে ফিরে মিডিয়ার সামনে তালেবানরা ভারতীয়দের সাথে কত ভালো ব্যবহার করেছে, ভালো খেতে দিয়েছে, নিরাপত্তা দিয়েছে সেই কথা অকপটে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘তালেবান আমাদের হেফাজত-খেদমত দুটোই করেছে। মিডিয়ার খবরের সথে বাস্তবের কোনো মিল নেই। ইসলামই প্রথম ধর্ম যেটি নারীদের সমধিকার দিয়েছে। কাবুলে একটি গুলিও চলেনি, গুলি চালিয়েছে মার্কিন সেনারা। কাবুলে শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছে। তালেবানরা সম্পূর্ণ নতুন একটা দেশ গড়তে চাইছে। তারা নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ওজনে ঠকানো বন্ধ হয়ে গেছে।
সোমবার ভারতের বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন কাবুলে অবস্থিত কার্দান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পদার্থ ও রসায়নের সিনিয়র শিক্ষক তমাল ভট্টাচার্য্য। সাক্ষাৎকারের একটি অংশ ওই চ্যানেলের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা হলে ভিডিওটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়। সাক্ষাৎকার নেয়া ওই সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তমাল বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে তালেবান নয় বরং আমেরিকান সৈন্যরাই গুলিয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দরে এখনো প্রায় ৬ হাজার আমেরিকান সৈন্য আছে। সেখানকার সাধারণ মানুষ আমেরিকা যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে জমায়েত করায় আমেরিকান বাহিনী ফাঁকা গুলি চালিয়েছে, যেন মানুষ সেখান থেকে সরে যায়। তমাল ভট্টাচার্য্য বলেন, আমরা বাসা থেকে বের হলেও তালেবান আমাদের সাথে যোদ্ধা পাঠাতো। শিক্ষকদের ব্যাপারে তালেবান অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। কারণ তারা বলে, কোরআনে শিক্ষকদের সম্মানের ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাই তারা আমাদের বলতো ওস্তাদ আপনারা বাইরে গেলে যোদ্ধাদের নিয়ে যাবেন। তবে বেশি দূরে কোথাও যাবেন না।
মিডিয়ায় তালেবান সম্পর্কে ছড়ানো নানা গুজব প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এসব তথ্য জানান তমাল। যদিও তমালের মুখে তালেবানদের এমন প্রশংসাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না এক শ্রেণির ভারতীয়রা। তালেবানদের গুণগান গাওয়ায় তমালকে কটাক্ষ করে সমালোচনায় ভাসান এসব উগ্রপন্থীরা। তমালের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে ভারতীয় মিডিয়া ধারাবাহিকভাবে তালেবানদের ভয়ংকর ড্রাকুলা, দৈত্য-দানব হিসেবে প্রচার করে আসছে। কিন্তু কাবুল ফেরত এই ভারতীয় শিক্ষক ভারতীয় মিডিয়ার মুখে পুরাতন চটি দিয়ে কষে চপোটাঘাত করলো।’ সূত্র : ফ্রি প্রে জার্নাল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।