Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আফগানিস্তানে যেভাবে শাসন করছে তালেবান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০২১, ১১:৪৫ এএম

তালেবান সারা বিশ্বের কাছে তার একটি গ্রহণযোগ্য ভাবমূর্তি তুলে ধরতে চায়। যদিও দেশের কিছু এলাকায় তালেবান বেশ কঠোর আচরণ করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা অনেকাংশেই নির্ভর করে ঐ এলাকার তালেবান অধিনায়কের কী মনোভাব তার ওপর।

তালেবান যখন এর আগে ক্ষমতায় ছিল সে সময়ের কথা যাদের মনে আছে তারা শরিয়া আইনকে ব্যবহার করে তালেবানের নিষ্ঠুর শাস্তির কথাই উল্লেখ করেন। গত মাসে দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে তালেবান শিশু অপহরণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে ধরে একটি সেতু থেকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেয়। যুক্তি হিসেবে তারা বলে, ঐ দুইজন দোষী প্রমাণিত হয়েছে।
বিবিসির একদল সাংবাদিক বালখ্ প্রদেশে গিয়েছিলেন। তাদের পৌঁছানোর দিনে তালেবানের একটি আদালতে বিচারকার্য চলছিল। মামলাগুলোর সবই ছিল জমিসংক্রান্ত বিবাদ। তালেবানের শাস্তি নিয়ে অনেকের মনে ভয় থাকলেও বিচারের দ্রুততা নিয়ে সন্তোষ দেখা যায়। কারণ দুর্নীতিবাজ সরকারি ব্যবস্থায় তার ন্যায়বিচার পেতে বহু সময় লেগে যেত। ‘আমাকে বহুবার ঘুষ দিতে হয়েছে,’ বলছিলেন এক মামলার ফরিয়াদি।
তালেবান বিচারক হাজি বদরুদ্দিন বললেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে গত চার মাসে তিনি কাউকে কোনো শারীরিক শাস্তি দেননি। উচ্চতর আদালতে গুরুত্বপূর্ণ রায়গুলো পর্যালোচনা করার জন্য আপিলের সুযোগ আছে বলেও তিনি জোর দিয়ে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের শরিয়া আইনে এটা পরিষ্কার। বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে কেউ যৌন সঙ্গম করলে সেই নারী বা পুরুষের শাস্তি হবে ১০০ ঘা চাবুক। কিন্তু কোনো বিবাহিত মানুষ এই কাজ করলে শাস্তি হবে পাথর ছুঁড়ে মৃত্যু। চুরির অভিযোগ প্রমাণিত হলে হাত কেটে ফেলার বিধান রয়েছে।
এসব শাস্তি আধুনিক যুগে অচল বলে যে সমালোচনা রয়েছে তিনি তাকে মেনে নিতে নারাজ। তার মতে, বাচ্চা চুরি করা হচ্ছে, এটা কি ভালো? এক জনের হাত কেটে দিয়ে যদি সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা সম্ভব হয়, সেটা কি ভালো না?’ দেখা গেছে, কিছু কিছু এলাকায় ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাচ্ছে। আবার কোনো কোনো অঞ্চলে বাচ্চারা স্কুলে যেতে পারছে না বলেও খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় তালেবান নেতা হাজি হেকমত জানান, তালেবানের শাসনে সেখানকার মানুষের দৈনন্দিন জীবনধারা স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রীরা দলে দলে স্কুলে যাচ্ছে (যদিও দেশের অন্যত্র মেয়েদের স্কুলে যাওয়া বারণ করার খবর এসেছে।) বাজারগুলো নারী ও পুরুষ খদ্দেরে গমগম করছে।
হাজি হেকমত জোর দিয়ে বললেন, এখানে কাউকেই কোন জোরজবরদস্তি করা হচ্ছে না এবং মেয়েদের কী পরিধান করা উচিত তালেবান শুধু সে সম্পর্কেই ‘উপদেশ’ দিচ্ছে।
হাজি হেকমত আরো বলেন, তারা ‘নোংরা’ গান প্রচার নিষিদ্ধ করেছেন। তবে তিনি বলেন, যে যা শুনতে চায় তাতে তারা কোন বাধা সৃষ্টি করেন না। সূত্র : বিবিসি



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: তালেবান

১০ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ