পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রথম আরব নারী হিসেবে চাঁদে পা রাখতে যাচ্ছে সুন্নিপ্রধান মুসলিম রাষ্ট্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের অধিবাসী এক তরুণী। যার নাম নোরা-আল-মাতরুশি। জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি বছরের নাসা মহাকাশচারী কোর্সে যুক্ত হচ্ছেন ২৭ বছর বয়সী আরব আমিরাতের এই তরুণী। সব ঠিক থাকলে তিনিই হবেন প্রথম মহাকাশচারী আরব নারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত ‘একবিংশ শতাব্দীর একটি বৈপ্লবিক পদক্ষেপ’। যুগান্তকারীও।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, চাঁদের বুকে নামানোর জন্য দুই মহাকাশচারীকে বেছেও নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। তাঁদের একজন ২৮ বছরের তরুণী মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নোরা আলমাত্রুশি। অন্যজন ৩২ বছর বয়সী মহম্মদ আলমুল্লা। যাঁর এক দশক ধরে দুবাই পুলিশের হেলিকপ্টারের দক্ষ পাইলট হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। দু’জনকেই দু’বছরের প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে পাঠানো হবে আর কয়েক দিনের মধ্যেই।
আরব দুনিয়ার প্রথম ভাবী মহিলা মহাকাশচারী নোরা আল-মাতরুশি জানান, “ছোটবেলা কাগজ আর কার্ডবোর্ডের বাক্স দিয়ে মহাকাশযান বানাতাম। আর স্বপ্ন দেখতাম সেই মহাকাশযানে চেপে মহাকাশে যাওয়ার। মাকে কত বার বলেছি, আমাকে একবার যেতেই হবে চাঁদে।”
সেই চাঁদ যদিও এখনও দূর অস্তই আল-মাতরুশির কাছে। তিনি জানিয়েছেন, “আমেরিকার নাগরিকরা যেভাবে ইংরেজি বলেন, লেখেন, এখন শুধু সেই সবই শিখছি। শিখছি রুশ ভাষাও। কখনও যদি আন্তর্জাতিক মহাকাশে স্টেশনে গিয়ে থাকতে হয় রুশ মহাকাশচারীদের সঙ্গে, তার জন্য। আর মহাকাশচারী হওয়ার একেবারে সহজপাঠের প্রথম কয়েকটি বর্ণ শিখছি দুবাইয়ে। শিখছি অতলান্ত জলে কী ভাবে ডাইভ দিতে হয়। সেপ্টেম্বরে যাব নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে। সেখানেই শুরু হবে টানা দু’বছরের প্রশিক্ষণ। চাঁদ অথবা আন্তর্জাতিক মহাকাশে স্টেশনে শেষ পর্যন্ত যেতে পারলে আমার অন্তরে লুকিয়ে থাকা শিশুটিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি খুশি হবে।”
আল-মাতরুশি জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখার পরেই তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পাশ করেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। তারপর চাকরি করতে ঢুকেছিলেন একটি পেট্রোলিয়াম শিল্পসংস্থায়। আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা মহাকাশচারী খুঁজছে জানতে পেরে আবেদন করেন আল-মাতরুশি। পরীক্ষার ভিত্তিতে তাঁকে বেছে নেয় আমিরাতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে মেজর হাজা আল মানসুরি আরব আমিরাতের প্রথম কোনো ব্যক্তি হিসেবে মহাকাশে গিয়েছিলেন। ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর সয়ুজ এমএস-১৫ মহাকাশযানে করে তিনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। প্রায় ৮ দিন মহাকাশে থাকার পর ২০১৯ সালের ৩ অক্টোবর তারিখে তিনি কাজাখস্তানে নিরাপদে অবতরণ করেন।
শুধুই চাঁদ নয়, ক’দিন আগে মহাকাশবিজ্ঞানের গবেষণায় নেমে সংযুক্ত আরব-আমিরাত লাল গ্রহ মঙ্গলের দিকেও হাত বাড়িয়েছে। নাসার রোভার পারসিভের্যান্সের আগেই আমিরাতের পাঠানো ‘হোপ অরবিটার’ মহাকাশযান পৌঁছে গিয়েছে মঙ্গল মুলুকে। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।